বারকাতই জনতা ব্যাংক শেষ করে দিয়েছেন: অর্থমন্ত্রী

  • জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৮, ০৩:৩৮ পিএম

ঢাকা: এক গ্রাহককে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তম কেলেঙ্কারির পাশাপাশি চাতুর্যের আশ্রয়ও নিয়েছে জনতা ব্যাংক। ঋণ কম দেখাতে ব্যাংক তাদের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক গ্রুপ বলে উল্লেখ করেছে। নিয়মনীতি ভেঙে এক গ্রাহককে বেশি ঋণ দেওয়ার তথ্য লুকাতেই এই চাতুরীর আশ্রয় নেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেয়া প্রতিবেদনেও ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণকে তিনটি পৃথক গ্রুপ হিসেবে দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্ন তোলেনি খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও।

তবে পাওনা বাড়তে থাকায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ এখন ২২ প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণকে একক গ্রুপের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে–বেনামে অনেকে থাকলেও প্রকৃত সুবিধাভোগী ইউনুস (বাদল) একাই। আর তাঁর গ্রুপের নাম এননটেক্স। আর এই ঋণ কেলেঙ্কারির শুরু ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাতের সময়ে।

এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, জনতা ব্যাংক একসময় সেরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু আবুল বারকাতই ব্যাংকটি শেষ করে দিয়েছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আবুল বারকাত (জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান) এত টাকা দিয়েছেন, আমি তো জানিই না। আমি জানি যে তার সময়ে বড় বড় বেনামি ঋণ দেয়া হয়েছে। ৩০০ কোটি, ৪০০ কোটি টাকা এবং খারাপ উদাহরণও তৈরি হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় পাশে ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। তিনি হঠাৎ অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, কোন ব্যাংক? অর্থমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘জনতা। বারকাত এটাকে শেষ করে দিয়েছে। অথচ এটা ছিল দেশের একটা সেরা ব্যাংক।

সৈয়দ আবুল হোসেন তখন অর্থমন্ত্রীকে বলেন, আপনিই তো তাকে (আবুল বারকাত) নিয়োগ দিয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী তখন বলেন, হ্যাঁ, আমিই দিয়েছিলাম।

সোনালীনিউজ/আতা