ঈদের আগেই বেড়েছে মসলার দাম

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৮, ০৩:০৪ পিএম

ঢাকা : এ সপ্তাহে রাজধানীর পাইকারি বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে রসুনের দাম। কমেছে পেঁয়াজ ও চিনির দাম।

তবে চাল,ডাল,তেল সহ বেশিরভাগ নিত্য-পণ্যের দাম রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। মধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণেই রসুনের দাম বাড়ছ, দাবি পাইকারদের।

রসনাবিলাসী বাঙালির খাবারে অনেকটা অপরিহার্য রসুন। চাহিদার বড় অংশ আমদানি নির্ভর হলেও দেশিয়ভাবে ফলন ভালো হওয়ায় গত সপ্তাহ পর্যন্তও কম ছিল রসুনের দাম। তবে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী পণ্যটির দাম।

ব্যবসায়ীদের দাবি, আমদানি কারকের কাছ থেকে রাজধানীর শ্যাম বাজার ঘুরে পাইকারদের কাছে আসতে বাড়ছে দাম।

ব্যবসায়ী জানান, চায়না রসুনের দাম আজকে থেকে ৫০-৫২ টাকা বিক্রি করা হবে। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা কমেছে।

অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান, শ্যামবাজার থেকে কিনে এনে এখানে বিক্রি করি। এখন ওইখানে কি-অবস্থা রয়েছে। সেটা আমরা বলতে পারিনা। যারা বড়-বড় আমদানিকারক তারা বলতে পারবে।

চলতি সপ্তাহে আরেক দফা কমে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৭ টাকায়। সব ধরনের ডাল ও সয়াবিন তেলের দামও রয়েছে কমতির দিকে। তবে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এলাচ, দারুচিনি সহ বেশিরভাগ মসলা।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি ডাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৫৮০ থেকে ১৬০০ টাকা। এদিকে তেলের মধ্যে সয়াবিন কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পাম ওয়েল ৭০ টাকা, সুপার ৭৮ টাকা।

গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম। পাইকাররা প্রতিকেজি মিনিকেট মানভেদে ৪৮-৫০ টাকা, বিআর আটাশ ৩৯-৪১ টাকা ও মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩৬-৪০ টাকা দরে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই