পিছনে হত্যাকারী- এটা ভেবেই মানুষ আতংকিত

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৯, ২০১৬, ০৪:৫২ পিএম

এবার রাজশাহীতে প্রাণ দিতে হলো পীর শহীদুল্লাহকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিমের মতো শহিদুল্লাহকেও ঘাড়ের ডান পাশে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বলা যায়, ড. এএফএম রেজাউল করিমের হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই নির্মমভাবে খুন করা হলো পীরকে। শিক্ষক ড. এএফএম রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের এখনো ধরা যায়নি। এখনো তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন ড. এএফএম রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের সনাক্ত করা হয়েছে, তা হলে প্রশ্ন কে বা কারা সেই নির্মম হত্যাকারী? কেনই বা তারা ধরা ছোয়ার বাইরে। তবেকি সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন শুধু কথার কথা বলছে। তারা কি ব্যর্থ, নাকি অন্য কোন কারন রয়েছে! তবে একথা ঠিক যে, জনমনে আতংক শুধু বাড়ছে।


গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার জুমারপাড়া এলাকার একটি আম বাগান থেকে পীর শহীদুল্লাহের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শহিদুল্লাহর বাড়ি পবা উপজেলার নওহাটা এলাকায় মহানন্দখালি গ্রামে। শনিবার বিকেলে জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে যে কায়দায় হত্যা করা হয়েছিল ঠিক একই ভাবে হত্যা করা হয়েছে পীর শহিদুল্লাহকে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক জানান, দুই জনকে হত্যার ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। রাজশাহীর পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ জানান, শহিদুল্লাহের খুনের ধরনের সঙ্গে সম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের মিল আছে। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। শহিদুল্লাহর বড় ছেলে রাসেল আহমেদ জানান, গোয়ালন্দ ঘাটের পীর নূর মোহাম্মদ দয়ালের ভক্ত ছিলেন তার বাবা শহিদুল্লাহ। মাঝেমধ্যেই তিনি সেখানে গিয়ে থাকতেন।

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও গোমস্তাপুর এলাকায় তার বাবার কিছু ভক্ত হয়েছে। ভক্তরা তার বাবাকে পীর হিসেবে মান্য করতেন। শুক্রবার সকালে শহিদুল্লাহকে মোবাইলে ফোন করে নওহাটা কলেজ মোড়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাকে মোটরসাইকেলের পিছনে বসিয়ে নিয়ে যায় বলে জানান রাসেল।

একই কায়দায় ওরা মানুষ মারছে। কেউ খুনীদের টিকিটি পর্যন্ত ধরতে পারছে না। খুনিরা খুনের পর দাবি করছে, তারা আইএস-এর অনুসারী। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, এদেশে আইএস নেই। ওরা আরনসার উল্লাহ বাহিনীর সদস্য। ওরা রাজনৈতিকভাবে কে তা আমরা জানিনা, তবে এটুকু জানি- ওরা খুন হচ্ছেন। হত্যাকারীরা অন্যদেশের নয়, তারপরও তাদের ধরা যাচ্ছেনা- এটাই সত্যি। পীর বা ধর্মগুরু বা শিক্ষকরা এদেশে সবসময়ই শ্রদ্ধেয়। সেইসব শ্রদ্ধেয় মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে, অথচ খুনিদের ধরা যাচ্ছেনা। সরকার বলছে বিশেষ একটি গ্রুপ একাজের জন্য দায়ী। তারা করা- জনগন তা জানতে চায়। জনগন চায় খুনিদের ধরা হোক। পিছনে হত্যাকারী ঘুরছে, এটা ভেবেই মানুষ আতংকিত। এ অবস্থা থেকে মানুষ রক্ষা পেতে চায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই