কোরবানির পশুর হাট : সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬, ১২:৫৩ পিএম

আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক পশুর হাট প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে দক্ষিণে ১৩টি ও উত্তরে আটটি পশুর হাট বসছে। আরো তিনটি হাটের ইজারা স্থগিত রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে এই তিন হাটে কোরবানির পশু উঠবে।

রাজধানীর পশুর হাটগুলোর একটি বাদে সব কটিই স্থায়ী। এসব হাটে পশু আসতে শুরু করেছে। উৎসাহী ক্রেতাদের অনেকেই হাটে গিয়ে কোরবানির পশু দেখে আসছেন। মূল কেনাবেচা এখনো শুরু হয়নি। দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে হাসিল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে এবার ৯টি হাট বেড়েছে। এতে কোরবানির পশু কেনার ব্যাপারে নগরবাসীর ভোগান্তি অনেক কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

তবে কোরবানির পশুর হাটে অন্য যে ভোগান্তি পোহাতে হয়, সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত, ভেটেরিনারি টিম তৎপর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। হাটে সিসি ক্যামেরা ও জাল নোট শনাক্তকরণ যন্ত্রসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ইজারাদারদের।

রাজধানীর পশুর হাটগুলোয় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু আসে। দেখা যায় কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কিছু মহল প্রতিবছর সক্রিয় হয়ে ওঠে। একটি চক্র হাটে জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়। এই জাল টাকা চিনতে না পেরে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারের হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ যন্ত্র থাকলেও এই চক্রটি যেন হাটে ঢুকতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। 

কোরবানির পশুর হাটে পকেটমারের দৌরাত্ম্যও নতুন নয়। তাদের ব্যাপারেও সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। কোরবানির পশুর হাটের নতুন বিপদ বিষে ভরা মোটাতাজা করা গরু। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছর একটি চক্র কম দামে গরু কিনে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য স্টেরয়েড জাতীয় নানা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য গরুকে খাওয়ায় অথবা ইনজেকশনের মাধ্যমে গরুর দেহে প্রবেশ করায়। 

এতে গরুর কিডনি, লিভার নষ্ট হয়ে যায়। গরুর শরীরে পানি জমে ও গরু দ্রুত ফুলে যায়। এসব নাদুসনুদুস অথচ বিষাক্ত গরু দেখে ক্রেতারা বিভ্রান্ত হয়ে কিনে নিয়ে যান। এই বিষ রান্নার তাপেও নষ্ট হয় না। এই মাংস খেলে মানুষের শরীরেও বিষ ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এমন বিষাক্ত মোটাতাজা গরু যাতে কোনো হাটে ঢুকতে না পারে, সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। রাজধানীর কোরবানির হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সব মহলের জোরদার ভূমিকা আমাদের কাম্য।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম