সাংবাদিক রোজিনার ন্যায়বিচার চাইলেন শাকিব খান

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২১, ০২:৩৮ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা : সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও তার বিরুদ্ধে মামলার পরপরই দেশে-বিদেশে বিক্ষোভ হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠন বিবৃতি দিয়ে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর মুক্তির দাবি জানায়। দেশেও বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানান।

এদিকে এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের অনেক তারকা। এবার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। বুধবার (১৯ মে) ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান তিনি। 

শাকিব লেখেন,  ‘দুদিন ধরে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের কয়েকটি স্থিরচিত্র দেখছি আর বিস্মিত হচ্ছি। দেশ ও বিশ্ব গণমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে তৈরি প্রতিবেদনগুলো পড়ছি আর ভাবছি, আমার সোনার বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘একজন সৎ সংবাদকর্মী তো কখনোই রাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ নন। বরং তিনি সমাজ তথা দেশের দর্পণ হিসেবে কাজ করেন। দেশের উজ্জ্বলতম অনুসন্ধানী সাংবাদিকের এমন দশায় উদ্বিগ্ন হই, মনটা ভারাক্রান্ত হয়।’

সাংবাদিকতায় রোজিনা ইসলামের সফলতার প্রসঙ্গে শাকিব লেখেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে সাংবাদিকতা করে রোজিনা ইসলাম দেশে ও দেশের বাইরে থেকে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। এ পর্যন্ত তিনি যেসব অসংগতি, দুর্নীতি জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন, সেগুলোর সবই কাঠখড় পুড়িয়ে বের করে আনা তথ্য, যা বস্তুনিষ্ঠ এবং জনগণের মঙ্গলময়।’

রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায়বিচার পান সেই প্রসঙ্গে এই চিত্রনায়ক লেখেন, ‘কিন্তু সুসাংবাদিকতা করতে গিয়ে রোজিনা ইসলাম যেভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তা মোটেও কাম্য নয়। এতে করে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথকে সংকুচিত করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে রোজিনা ইসলাম যেন শতভাগ ন্যায়বিচার পান সেই কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। যেখানে তাকে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে সচিবালয় থেকে নেওয়া হয় শাহবাগ থানায়। পরে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনে তার নামে মামলা দেওয়া হয়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ