রঙিন একটা সময় ফেলে এসেছি

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১, ০৩:৪০ পিএম

ঢাকা : নায়ক রুবেলের পারিবারিক নাম মাসুম পারভেজ রুবেল। মার্শাল আর্টখ্যাত চিত্রনায়ক তিনি। কারন তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের গতানুগতিক অ্যাকশন ছবিগুলোর নায়কদের মাঝে সম্পূর্ণ আলাদা। যিনি প্রতিটি ছবিতে মারামারি করতেন খালি হাতে। যার কোনো বন্দুক, গুলির প্রয়োজন ছিল না। তার কাছে যা ছিল তা অন্য কোনো নায়কের কাছে ছিল না। একমাত্র বাংলাদেশের দর্শকরা তা পেতো হলিউডের ব্রুস লি’র ছবিতে। হ্যাঁ, রুবেল ছিল মার্শাল আর্টে পারদর্শী একজন নায়ক যার ছবিতে থাকতো নিত্যনূতন মারামারির কৌশল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেই চলচ্চিত্রের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। রপ্ত করতে থাকেন সিনেমার খুঁটিনাটি। অবশ্য তার পারিবারিক আবহ ছিল সিনেমার অনুকূলে। ড্যাশিং হিরো সোহেল রানা তার বড় ভাই। রুবেল তরুণ বয়স থেকেই খেলাধুলা ও সংগীতের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন।

নব্বই দশকে ‘লড়াকু’ সিনেমা দিয়েই অভিনয়ে অভিষেক তার। প্রথম ছবিই সুপার ডুপার হিট। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খালি সাফল্যের হাওয়া। এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক রুবেল বর্তমানে কেমন আছেন? উত্তরে রুবেল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে? রুবেল বলেন, আমি যখন শীর্ষ নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে সময় পার করেছি তখনও যেটুকু সময় পেতাম, আমার মার্শাল আর্ট ক্লাবকে দিতাম। এখন আমি অভিনয় থেকে দূরে।

কিন্তু আমার ক্লাবের কার্যক্রম এবং আমার ছাত্রদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। ঢাকার বাইরেও আমার অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে।

একটা সময় সকালের শিফটে ঢাকায়, আবার সন্ধ্যার শিফটে কক্সবাজার শুটিং করতেন। আপনার ক্ষেত্রে তো এ বিষয়টা অনেক বেশি হতো। তুমুল ব্যস্ততা থেকে এখন অফুরন্ত অবসর। বিষয়টা কীভাবে দেখেন?

এ নায়ক বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সারা জীবন কেউ একই জায়গায় স্থির থাকে না। আজ যে শিল্পী জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন দেখা যাবে আগামীকাল তিনি জনপ্রিয়তার দৌড়ে পেছনে পড়ে গেছেন। রূপালী জগতে উঠানামা চলতেই থাকে। এটাও সত্যি যে কোনো কোনো শিল্পীর জীবনে শীর্ষ তকমাটা দীর্ঘস্থায়ী আবার কারো কারো ক্ষণস্থায়ী।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজে একমাত্র নায়ক আপনি যার ব্যক্তিগত গাড়িতে সব সময় অসংখ্য পোশাক, জুতা, সানগ্লাস, ক্যাপ মজুত থাকতো। আপনার শিডিউল পেতে পরিচালকদের হিমশিম খেতে হতো। সেই সময়টাকে মিস করেন? রুবেল হেসে বলেন, এ কথাগুলো আমাকে অতীতে নিয়ে যাচ্ছে। বলে বুঝাতে পারবো না।

 রঙিন একটা সময় ফেলে এসেছি। রুবেল বলেন, কক্সবাজারকে আমার সেকেন্ড হোমও বলতেন সবাই। এমনও হয়েছে কক্সবাজারে আমি মাসের পর মাস শুটিং করেছি। আপনি তো বাংলাদেশ জাতীয় কারাতে ফেডারেশনের সদস্য। ২০১১ সালের জাতীয় কারাতে ব্ল্যাক বেল্ট চ্যাম্পিয়ন।

চিত্রনায়কের বাইরে আপনি একজন প্রযোজক, পরিচালক ও গায়কও। কোন জায়গাটিতে নিজেকে সফল মনে করেন? রুবেল বলেন, নায়ক রুবেলের জনপ্রিয়তার মাঝে অন্যান্য পরিচয় অনেকটাই ম্লান। আমার দীর্ঘ সিনেমা ক্যারিয়ারে নায়ক রুবেলই সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। আমি নায়ক রুবেল হয়েই থাকতে চাই।

সোনালীনিউজ/এমটিআই