ঢাকায় মঞ্চায়নের স্বপ্ন কাজল চক্রবর্তীর

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০১৬, ০৫:০১ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের উদীয়মান নাট্যকার কাজল চক্রবর্তী পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। বর্তমানে কাজ করছেন জাতিসংঘের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইফাদে। পেশার কারণেই বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশসমূহে বিচরণ তার। হিসাবের লোক হলেও মননে, চিন্তায় নিবেদিত নাটকে। স্কুলে ট্যালেন্ট কম্পিটিশনে নাটক করেছিলেন। পরে বাড়ির রকে বা ছাদ বারান্দার আড্ডায় বিচ্ছিন্নভাবে নাটকের সঙ্গে সম্পর্ক। পরিবারের সবাইকে নিয়ে নাটকের সংলাপ আওড়ানো। ধীরে ধীরে নাটক লিখতে শুরু করেন।

প্রথমদিকে বড় লেখকদের গল্প অবলম্বনে নাটক লেখার চেষ্টা করতেন। ২০১৩-তে মৌলিক নাটক লেখা শুরু। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত ‘লাস্ট লেকচার ইন নালন্দা ইউনিভার্সিটি’ পড়ার পর থেকেই একধরনের মুগ্ধতা অনুভব করেন নালন্দা ইউনিভার্সিটির শেষদিকের দিনগুলো নিয়ে। পরে এ নিয়ে গবেষণা করতে ছুটে গেছেন লুপ্ত নালন্দায় বারবার। এন্তার পড়াশোনা শেষে শুরু করেন ‘কথা নালন্দা’ লেখার। নাটকটি লিখতে সময় নিয়েছেন ছ’মাস। এরপর এটি নিয়ে যোগাযোগ করেন বহুরূপীর পরিচালক দেবেশ রায় চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি লুফে নিলেন। এ বছরের পুরোটা জুড়েই কলকাতাসহ বিভিন্নস্থানে বহুরূপী মঞ্চস্থ করছে ‘কথা নালন্দা’।

সমাজ গঠনে থিয়েটারের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নে কাজল চক্রবর্তী বলেন, ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলেছেন, থিয়েটারে লোকশিক্ষা হয়। বিনোদনের নানা মাধ্যম থাকা সত্ত্বেও ভালো নাটকের আবেদন এখনও ফুরিয়ে যায়নি। বর্তমান সংকট প্রসঙ্গে বলেন, সংস্কৃতি ভুলে যাওয়ায় আজ সমাজে অস্থিরতা। নিজস্ব সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে পারলে বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে তা কমে যাবে। ‘কথা নালন্দা’র পরে সিপাহী বিপ্লবের ওপর একটি নাটক লেখার ইচ্ছা। এ নিয়েই এখন গবেষণা করছেন কাজল চক্রবর্তী। ঢাকায় নাটক মঞ্চায়নের স্বপ্ন এ নাট্যকারের। আর নাটকের প্রসারে ছোট ছোট গ্রুপগুলোকে নাটক করতে সরকারি প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

এতে মঞ্চ নাটকের প্রতি সংস্কৃতিবোদ্ধাদের আগ্রহ আরো বাড়বে বলেই মনে করেন কাজল চক্রবর্তী। ভবিষ্যৎ স্বপ্ন কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রয়াত নাট্যগুরু উৎপল দত্তের মতো নাট্যকার হতে চাই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই