বলিউডে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে ‘আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে’ চলমান বিতর্ক। এই প্রেক্ষাপটে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী রানি মুখার্জি। মাতৃত্ব, কাজের ভারসাম্য এবং কর্মক্ষেত্রে সহানুভূতির অভাব নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন তিনি।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রানি জানান, ২০১৮ সালে 'হিচকি' সিনেমার শুটিং চলাকালীন সময় তার মেয়ে আদিরা ছিল মাত্র ১৪ মাস বয়সী। তখনকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে দুধ পাম্প করে বের হতাম এবং চেষ্টা করতাম দুপুরের মধ্যে শুটিং শেষ করে বাড়ি ফিরতে। ইউনিট ও পরিচালকের সহানুভূতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল।
রানি মনে করেন, ৮ ঘণ্টার কাজ বা নির্ধারিত সময়ের শিডিউল নতুন কিছু নয়। অনেক অভিনেত্রীই আগেই নিজেদের মতো করে ভারসাম্য রক্ষা করে কাজ করে আসছেন।
তার কথায়— “যদি প্রযোজক রাজি থাকেন, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করা সম্ভব। এটা একান্তই পারস্পরিক সমঝোতার বিষয়। কেউ কাউকে জোর করছে না।”
নারী-পুরুষের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা নিয়ে আলোচনায় রানি ছুঁড়ে দেন এক তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ।
তিনি বলেন, যদি পুরুষদের সন্তান জন্ম দিতে হতো, তাহলে তারা সবাই পাগল হয়ে যেত। এখন তাদের হাতে অনেক সময়, তাই তারা যুদ্ধ করে বেড়ায়। শিশুর জন্মদানের অভিজ্ঞতা থাকলে তারা শুধু সন্তান নিয়েই ব্যস্ত থাকত—পৃথিবীতে কোনো যুদ্ধই থাকত না।
তিনি আরও বলেন, একজন নারী যখন সন্তান জন্ম দেয়, তখন সে যে মানসিক ও শারীরিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায়, সেটা ঈশ্বরের সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়ার অনুভূতি। আমরা জীবন সৃষ্টি করি—এটা এক অনন্য গৌরব।
নিজের নারী পরিচয় নিয়ে গর্বিত রানি মুখার্জি জানান—আমি মেয়ে হয়ে খুব খুশি। নারীসত্তাকে কোনো কিছুর বিনিময়েই বদলাতে চাই না।
রানির এই বক্তব্য ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই তার মন্তব্যকে ‘সাহসী, সংবেদনশীল ও সময়োপযোগী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এম
বলিউডে ‘ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স’ নিয়ে আলোচনা যখন জোরালো হচ্ছে, তখন রানির মতো অভিজ্ঞ শিল্পীর এই মন্তব্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে মানবিকতা ও সহানুভূতির প্রশ্নটিও সামনে এনেছে তার এই অবস্থান।
এম