অসংখ্য অন্যায় দেখে চুপ থাকতে পারিনি, তাই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি: বাঁধন

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আজমেরী হক বাঁধন/ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলেন। আয়োজনটি ছিল চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘ম্যাজিক লণ্ঠন কথামালা ১৩’-এর। বক্তৃতায় বাঁধন নিজের অভিনয়জীবন ও ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প শেয়ার করেছেন।

তিনি জানান, “লাক্স সুন্দরী থেকে নায়িকা বাঁধন এবং নায়িকা বাঁধন থেকে মানুষ বাঁধন হওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছি।” ২০০৬ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতা থেকে তার যাত্রা শুরু হলেও, পরবর্তীতে নাটক, সিরিয়াল ও সিনেমায় কাজের পাশাপাশি পড়াশোনার দিকে মন দেন।

বাঁধন ডেন্টাল স্টাডি সম্পন্ন করার পর কিছু সময় অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে ফিরে আসতে হয় মিডিয়ার কাজে। ২০১৮ সালে তার সন্তান সংক্রান্ত একটি যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাকে পুরোপুরি বদলে দেয়। তিনি বলেন, “আমার অধিকার নিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে আমি মেয়ের পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছি, যা ছিল বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় যুগান্তকারী রায়।”

নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অকপট বাঁধন জানান, তিনি ক্রনিক ডিপ্রেশন ও বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিজঅর্ডারের রোগী, এবং নিয়মিত থেরাপি নেন। থেরাপিস্টের প্রশ্নে তিনি উপলব্ধি করেন, তিনি অভিনয়কে সত্যিই ভালোবাসেন না, কিন্তু এরপরই আসে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, যা তাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেয়।

বাঁধন উল্লেখ করেন, “আমি যে মানুষ বাঁধন হওয়ার চেষ্টা করছি, তার সামাজিক দায়িত্বও আছে। অসংখ্য অন্যায় দেখেও একজন নাগরিক হিসেবে চুপ থাকতে পারব না।” এজন্য তিনি ২০১৮ সালের জুলাই অভ্যুত্থানেও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান।

ভবিষ্যতে চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন বাঁধন। তিনি বলেন, “আমি এমন গল্প বলতে চাই, যা শুধু আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়, দেশের দর্শককেও ছুঁয়ে যাবে। আমার মেয়ের জন্য সমাজটা বদলাতে চাই।”

এম