‘সদস্যপদের নামে চাঁদাবাজি করছে পরিচালক সমিতি’

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৭, ০৩:৪৬ পিএম

ঢাকা: একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে সংবাদের শিরোনামে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সাম্প্রতিক বেশকিছু কর্মকাণ্ডে এখন তুমুল বিতর্কের মুখে নির্মাতাদের এই সংগঠন। আর এবার এই সংগঠনের অসারতা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বললেন সদ্য পরিচালক সমিতি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেতা ও পরিচালক বাপ্পারাজ। যিনি এই সংগঠনটিকে ক্ষেত্র বিশেষে চাঁদাবাজি করছে বলেও অভিযোগ তুলেন।    

সাম্প্রতিক বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখিন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতি। সদ্য এই সমিতির হাতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সুপারস্টার শাকিব খান। পরবর্তীতে কোনোরকমে ক্ষমা চেয়ে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু শাকিবের কারণে এখন পর্যন্ত শাস্তির খড়গ মাথায় নিয়ে ঘুরছেন বহিষ্কারাদেশ পাওয়া 'রংবাজ' নির্মাতা শামীম আহমেদ রনি। পরিচালক সমিতি কর্তৃক শাস্তি পাওয়াদের দলে সর্বশেষ ব্যক্তি হিসেবে আছেন অভিনেতা ও নির্মাতা বাপ্পারাজ। তবে তিনি শাকিব খান কিংবা রনির মতো পরিচালক সমিতির অন্যায় অভিযোগের বিরুদ্ধে চুপ করে বসে নেই। বরং এই সংগঠনের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি রূপে দেখা যাচ্ছে বাপ্পারাজকে! 

পরিচালক সমিতির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড এবং নিজের উপর এই সমিতি যে বাজে আচরণ প্রদর্শন করেছে তার বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছেন বাপ্পারাজ। শুধু তাই না, পরিচালকদের বেকার বলায় শাকিবকে সমর্থন দিয়ে গণমাধ্যমে যে মন্তব্যের জন্য বাপ্পারাজকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাতে পরোয়া করেন না বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেতা। পরিচালক সমিতির কোনো সিদ্ধান্তে তার কিছু যায় আসে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমনটাও শোনা যাচ্ছে যে, এফডিসিতে যে নোংরা পলিটিক্স শুরু হয়েছে তার জন্য সিনেমা থেকেই দূরে সরে যেতে পারে ‘রাজ পরিবার’।

পরিচালক সমিতি যদি নিষিদ্ধও করে দেয় তাতে যায় আসে না কিছু এমনটাই জানিয়েছেন বাপ্পারাজ। তবে যার ইশারায় এফডিসিতে এসব নোংরা পলিটিক্স হচ্ছে তাকেও নুন্যতম ছাড় দিতে রাজি নন তিনি। বরং পরিচালক সমিতির সদস্যপদ পেতে যে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন, তার এখন ফেরৎ চাইছেন বাপ্পারাজ। এমনকি সদস্য পদের জন্য যে পরিচালকদের থেকে পয়সা নেয়া হয়, সেজন্য এই সংগঠনটিকে চাঁদাবাজির সংগঠনও বলেছেন একটি সাক্ষাৎকারে। 

এফডিসিতে সমিতি বানানোকে অবৈধ জ্ঞান করে বাপ্পারাজ বলেন, অবৈধভাবে এফডিসিতে সমিতি ফেঁদে বসে আছে তারা। প্রথম কথা, এখান থেকে তাদের বের হয়ে যেতে হবে। কোনও করপোরেশনের মধ্যে এটা (সমিতি) করা যায় না। সমিতির অফিসটা ইলিগ্যাল। এটা প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত একটা এলাকা। এখানে সমিতি করা যায় না। ওরা পাঠাগারের নাম নিয়ে এ জয়াগাটা নিয়েছে। বই তো কিছুই পড়ে না। ধুলো জমে গেছে বইয়ে। এরপর তারা ওখানে সদস্যপদের নামে চাঁদাবাজি করছে।

পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকনকে অশ্লীল ছবির পরিচালক বলেও আখ্যায়িত করেন বাপ্পারাজ। এমনকি তার জন্যই এফডিসিতে একের পর এক বাজে ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। শুধু তাই না, বদিউল আলম খোকন এসব করছেন যাতে বাংলা চলচ্চিত্রে আবারও আগের মতো অশ্লীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। আর এসব অশ্লীল ছবি করার জন্য তারই কুখ্যাতি আছে। কেনোনা অশ্লীল ছবির করার দায়ে তিনি একবার নিষিদ্ধও হয়েছিলেন!

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল