‘শিল্পী সমিতির নির্বাচন জাস্ট ফুলের মালা বদল’

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৭, ০৬:০৪ পিএম

ঢাকা: ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে চলতি মাসের বাংলা সিনেমায় সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন বিতর্ক। যে নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী ভোট পেয়ে ক্ষমতা পেতে যাচ্ছেন মিশা-জায়েদ খান প্যানেলটি। নির্বাচনের পর শপথ নিলেও এতোদিন যারা আইনি জটিলতায় পড়ে ক্ষমতা বুঝে নিতে পারছিলেন না।

নির্বাচনে হট্টগোল, ভোট কারচুপির ভেড়াজালে এতোদিন আইনি জটিলতায় ঝুলে ছিলো নব নির্বাচিত শিল্পী সমিতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি। কারণ, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠায় এবং ভোট কারচুপির অভিযোগে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর’ বিষয়টি স্থগিত করে আদালত। যদিও আদালতের এমন নিষেধাজ্ঞার পরও কিছুটা তাড়াহুড়ো করেই গত ১২ মে শুক্রবার শপথ নেয় মিশা-জায়েদ প্যানেলের সদস্যরা।

কারণ যার আপিলের ভিত্তিতে আদালত শিল্পী সমিতির ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি স্থগিত করে, সেই রমিজ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছে আদালত। এমন খবর সোনালীনিউজকেও নিশ্চিত করেছেন সমিতির নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মনতাজুর রহমান আকবর। আর তাই এবার মিশা-জায়েদদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন সদ্য সমাপ্ত শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন কমিশনার।

আর এই বিষয়টি নিয়েই বুধবার বিকালে এফডিসির শিল্পী সমিতির অফিসে অনুষ্ঠিত হলো একটি সংবাদ সম্মেলন। যেখানে মিশা-জায়েদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাদের আইনজীবী, কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ নির্বাচিত প্যানেলের অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। আর এখানেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে সামান্য ফুলের মালা বদল বলেই উল্লেখ করেন নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর। 

বিকাল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই মিশা-জায়েদদের আইনজীবী রমিজের জালিয়াতি নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। শুধু তাই না, কিভাবে জালিয়াতি করে শিল্পী সমিতির ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছিলো তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী। এসময় বক্তব্যের এক পর্যায়ে মিশা বলেন, ওমর সানিকে বিষয়টি ঠিকঠাকভাবে বুঝিয়ে বলেছিলো। তিনি মেনে গিয়েছিলেন। কিন্তু রমিজ নামের যে শিল্পী এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, জালিয়াতি করে মামলা মুকুদ্দমায় জড়ালেন তাকেতো খুব ভালো আমরা চিনিই না। এসময় সাংবাদিকদেরকেও মিশা রমিজকে চেনেন কিনা প্রশ্ন করেন! সাংবাদিকরাও তাকে চেনেন না বলে সম্মতি দেন।  

এরপর শিল্পী সমিতির সঙ্গে সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মিশা বলেন, শিল্পী সমিতি শুধু শিল্পীদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করবে। এইজন্যই এই সংগঠনটা। এতে কোনো ব্যক্তিগত কারো স্বার্থ নেই। আমি বহুবার বলছি, এটি একটি অলাভজনক সংগঠন। একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল