‌‌‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বাচ্চুকে চিনতো না, খান আতাকে সবাই চিনতো’

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০১৭, ০৭:৩৯ পিএম

ঢাকা: সম্প্রতি বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান পরিচালক ও অভিনেতা খান আতাউর রহমানকে 'রাজাকার' বলে মন্তব্য করেন নাট্যজন ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এরই পর ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এ প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা বলেছেন বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সোহেল রান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সময় বাচ্চু সাহেবকে কেউ চিনতো না, কিন্তু খান আতা সাহেবকে সবাই চিনতো। ফলে বাচ্চু সাহেবের পালিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা যতটা সহজ ছিল, খান আতা সাহেবের জন্য ততটা সহজ ছিল না। যে কারণে তিনি সরাসরি যুদ্ধে যেতে পারেননি। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিতে পারেননি। তাই বলে তারা রাজাকার?

সোহেল রানা বলেন, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে যারা গান, নাটক, সাহিত্য, আর্ট কালচার থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিপ্লবী চেতনা নিয়ে এসেছে তারাই হচ্ছে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অংশ নিতে পেরেছে কি পারেনি সেটা পরের কথা। 

২৫ মার্চের আগে বাংলাদেশের রেডিও ও টেলিভিশনে প্রচারিত গানের ৩০ ভাগের লেখক ও সুরকার খান আতাউর রহমান ছিলেন জানিয়ে প্রবীণ এই অভিনেতা বলেন, আমি নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুকে অনুরোধ করবো এই গানগুলো যেন তিনি দয়া করে শোনেন। গানগুলোতে কী ছিল? গানগুলোতে কি পাকিস্তানের গুণগান ছিল, না আমাদের দেশের কথা ছিল?
 
সোহলে রানা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত পুলিশ, বিডিআর, আর্মি, শিক্ষক, চিকিৎসক পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে বেতন নিয়েছেন। এখন তাই বলে কি তারা রাজাকার? আবার বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষ তো আর যুদ্ধ করতে যায়নি- তাহলে তারাও কি রাজাকার?

সোনালীনিউজ/বিএইচ