জেমসের পাগল ভক্ত কেনেডি

  • বাবুল হৃদয় | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০১:৫০ পিএম
জেমস ও গায়ক কেনেডি

ঢাকা: ‘নগর বাউল জেমসের পাগল ভক্ত আমি। যেখানে তার শো ছিল নাওয়া-খাওয়া ভুলে সেখানেই ছুটে যেতাম। তার গানের কথা-সুর এমন ছিল যে, মনে পড়লে এখনো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।’

সোনালীনিউজ কার্যালয়ে এসে গুরু জেমস সম্পর্কে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন, জেমসের পাগল ভক্ত কণ্ঠশিল্পী ও ‘চাতক’ ব্যান্ডের মেইন ভোকাল শাহরিয়ার শামস কেনেডি।

গায়ক শাহরিয়ার শামস কেনেডি

কেনেডি আরও বলেন, ‘গুরুর মতো চাদর গায়ে জড়িয়ে হাটতাম। তার একটি নীল রংয়ের গাড়ি ছিল, এটা নিয়ে সারাদিন টৈ-টৈ করে ঘুরে বেড়াতাম। উত্তরায় তার বাসার পাশে আমার মতো আরও কিছু ভক্ত ছিল, তাদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। গান শুনতাম। গুরুর গান শুনতে শুনতেই গানের পোকা মাথায় ঢুকে।

এছাড়া বাবা (নরসিংদীর সাবেক এমপি শামসুউদ্দীন আহমেদ এছহাক) গান লিখতেন ও সুর করতেন। তিনি বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। তার ৪ হাজারের বেশি গান রয়েছে। মা গান করতেন। গানের পোকাটা আসলে পরিবার থেকেও ঢুকেছে।

ছোটবেলা থেকেই হাতে একটা গিটার থাকতো। পারতাম আর না পারতাম, টুংটাং করে বাজাতাম। এভাবে বন্ধুদের সঙ্গে টুকটাক স্টেজ শো করে পরিচিতি কিছুটা আসলেও গানের মূল পোকাটা ধরে কুষ্টিয়ায় থেকে।’

গায়ক শাহরিয়ার শামস কেনেডি

কেনেডি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দুষ্টু নাম্বার ওয়ান ছিলাম। পড়াশোনায় ভালো ছিলাম না।  ক্লাসে সবার পেছনের সিটে বসতাম। রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে, বাবা সারাদিন রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, মা পুরোদস্তুর সংসারজীবনে। ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত নরসিংদীর এমপি ছিলেন আমার বাবা।’ 

নিজেও রাজনীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়েছিলেন। এখনও দলীয় পদ বহন করছেন। তবে সে পথ ছেড়ে এখন লালন সঙ্গীত নিয়ে কাজ করছেন কেনেডি। তার ‘চাতক’ ব্যান্ড নামে একটি ব্যান্ড রয়েছে। দলে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। লিমন, শান্ত, পলক, নূর ও কেনেডি। লালনের গান নিয়েই তারা পারফরমেন্স করছেন।

কেনেডি বলেন, ‘আমাদের এখন নতুন অ্যালবামের কাজ চলছে। সবকটি গানই থাকছে লালনের। ২০১৫ সালে ‘সহজ মানুষ’ শিরোনামে ‘চাতক’ ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম বাজারে আসে।

নগর বাউল জেমসের সঙ্গে পাগল ভক্ত গায়ক শাহরিয়ার শামস কেনেডি

সোনালীনিউজ/বিএইচ