হয়রানি করলে কর্মবিরতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৫:৪৮ পিএম
ফাইল ছবি

ঢাকা: লকডাউনে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় একের পর হেনস্থার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে চিকিৎসকরা। অন্তত পাঁচ জন চিকিৎসকের পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশ তাদের সঙ্গে অন্যায্য আচরণ আর জরিমানার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সরকারকে চিঠিও দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গেও। নেতারা বলছেন, মহামারির এই সময়ে তারা কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে চান না। তবে এভাবে চলতে থাকলে প্রতীকী বিরতির কথাও ভাবা হচ্ছে।

আরও পড়ুন<<>>চিকিৎসক-পুলিশের সেই বাগবিতণ্ডা গড়াল হাইকোর্টে

সোমবার (১৯ এপ্রিল) চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএ মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিকিৎসকদের হয়রনি বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তুর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এভাবে চিকিৎসক হয়রানি চলতে থাকলে আমার ঠিকভাবে কাজ করতে পারব না, চিকিৎসা সেবা ব্যহত হবে। এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এটা দুঃখজনক।’

পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা পালন করা কঠিন উল্লেখ করে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘অধিদপ্তরের জানা উচিত দেশের ৮০ শতাংশ চিকিৎসকের কাছে কোনো ডাক্তরি পরিচয়পত্র নেই।’

আরও পড়ুন<<>>কী ঘটেছিলো সেখানে (ভিডিও)

এদিকে গত ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। অনুনোমোদিত ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের বাইরে গেলে নিতে হচ্ছে মুভমেন্ট পাস। তবে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। তারা অনুমোদিত ব্যক্তিদের মধ্যেই পড়েন।

চিকিৎসকদের অভিযোগ, গত ছয় দিনে অন্তত পাঁচ জন চিকিৎসক হয়রানিতে পড়েছেন খোদ ঢাকা শহরে। পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও একজনকে জরিমানা করা হয়েছে। একজনের গাড়িতে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের স্টিকার, গায়ে অ্যাপ্রোন থাকার পরেও পরিচয়পত্র দেখাতে জেদাজেদির এক পর্যায়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে।

এক চিকিৎসকরে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হেঁটে যেতে বলা হয়েছে। তবে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু তাদের জরিমানা দিতে হয়েছে।

তাদেরকে কর্মস্থলে নামিয়ে দিয়ে আসার পথে গাড়ি আটকে জরিমানা করা হয়েছে। কোনো কথাই শোনেনি। এক চিকিৎসক ফোনে পুলিশের সঙ্গে কথা বললে তাকে জেলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন।

এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিকিৎসকদেরকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলেছে। তবে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ বলছে, সিংহভাগ চিকিৎসকেরই কোনো পরিচয়পত্র নেই। সেখানে কীভাবে তারা এটা সঙ্গে রাখবে।

সোনালীনিউজ/আইএ