আসামে ৩ মুসলিম বোনকে থানায় বিবস্ত্র করে নির্যাতন, একজনের গর্ভপাত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯, ০২:১০ পিএম

ঢাকা : ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিক পঞ্জি হবার পর থেকে মুসলিমদের ওপর নিষ্ঠুরতার সীমা ছাড়িয়ে নির্যাতন। তবে নির্যাতনটা করছে খোদ আইনের রক্ষক পুলিশ। ভারতের আসাম রাজ্যে ঘটেছে এমন নির্মম ঘটনা।

জানা গেছে, আসামের দারাং জেলার একটি থানার পুলিশ তিন মুসলিম বোনকে ধরে নিয়ে বিবস্ত্র করে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে।  এতে গর্ভবতী এক বোনের গর্ভপাত হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিপাঝর থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিন বোন বলেন, তাদেরকে থানায় আটকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের একজন বলেন, তিনি গর্ভবতী ছিলেন এবং নির্যাতনের কারণে তার গর্ভপাত হয়।

অভিযোগ দায়েরের পর দারাং জেলার বুরহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এবং এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।

আসামের একটি নিউজ চ্যানেলকে ওই তিন নারীর দেওয়া সাক্ষাৎকারের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

অভিযোগ দায়েরকারী এক ভুক্তভোগী বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির সাতগাঁও এলাকায় নিজ বাসা থেকে স্বামী এবং দুই বোনসহ তাকে পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে দারাং জেলার বুরহা পুলিশ ফাঁড়িতে রাখে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ওই নারীর ভাই প্রেম করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় দারাং জেলায় একটি অপহরণ মামলা হলে অভিযুক্তের স্বজনদের তুলে আসে পুলিশ।

দারাং পুলিশ সুপার অমৃত ভূঁইয়ার কাছে পৃথক এক অভিযোগে ২৮ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর তিনি, তার স্বামী ও দুই বোনকে বিবস্ত্র করে পেটান দুই পুলিশ কর্মকর্তা- ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহেন্দ্র শর্মা এবং নারী কনস্টেবল বিনিতা বোরো।

তারা বলেন, বন্দুকের মুখে ফাঁড়ির ইনচার্জ মহেন্দ্র শর্মা তাদের নির্যাতন করেন। এমনকি গর্ভবতী নারীকেও নির্যাতন থেকে রেহাই দেননি তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, নির্যাতিতা নারীদের একজন গর্ভবতী কিনা সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। মেডিকেল রিপোর্টের অপেক্ষা আছেন তারা। এদিকে ঘটনাটি তদন্তে একজন জ্যেষ্ঠ ইন্সপেক্টর জেনারেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্র: নর্থইস্ট নাও, আসাম টাইমস।

সোনালীনিউজ/এএস