ঢাকা : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আল-আহলি আরব ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচশ লোকের প্রাণ গেছে। হামাস সরকার এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বলে জানায় আজ জাজিরা।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় আহত এবং বাস্তুচ্যুত লোকেদের পাশাপাশি অসুস্থরাও এই হাসপাতালে ছিলেন।
৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন হাজার লোকের প্রাণহানির খবর জানা গিয়েছিল। হাসপাতালে হামলার ঘটনার আগেই এই নিহতের সংখ্যা জানা যায়।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ইসরায়েলের বোমা হামলায় হাসপাতালটির ধ্বংসাবশেষের নিচে কয়েকশ লোক চাপা পড়েছে।
গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে শীর্ষ ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠন আল মিজান। সংগঠনটি বলছে, এটি যুদ্ধাপরাধ, সহজ কথা।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বলছে, গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা ২০০৮ সাল থেকে সংঘটিত পাঁচটি যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ইসরায়েলি বিমান হামলা।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বাসিন্দাদের গাজা সিটি সহ উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় হাসপাতালগুলো শরণার্থী শিবির হয়ে উঠেছে। বাসিন্দারা এই বিশ্বাসে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন যে, হয়তো হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা হবে না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আল-আহলি হাসপাতালে বোমা হামলার ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।
[209187]
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের প্রতিবাদ : এদিকে, অবরুদ্ধ গাজায় আল আহলি আরব ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় উপত্যকাটির শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) তুরস্কের সরকারি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার পাকিস্তান বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ।
তিনি বলেন, 'মানুষ যদি হাসপাতালে নিরাপদ না থাকে তা হলে যাবে কোথায়? জোরালো ভাষায় এই হামলার নিন্দা করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'অতীতে স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য শরণার্থীদের আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছে। সিরিয়া, ইউক্রেন ও আরও অন্যান্য দেশ থেকে যারা এসেছেন আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি।… আমরা অবশ্যই আবারও তা করবো।'
'গাজার ১০ লাখের বেশি মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে' উল্লেখ করে হামজা ইউসুফ বলেন, 'বিশ্বব্যাপী গাজাবাসীদের জন্য শরণার্থী কর্মসূচি শুরু করতে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করছি।'
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার বলেন, 'এই ভয়ঙ্কর হামলায় যারা পড়েছেন স্কটল্যান্ড তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিতে ইচ্ছুক। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্কটল্যান্ড ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের হাসপাতালগুলো গাজার আহত শিশু-নারী-পুরুষদের চিকিৎসা দেবে,।'
বিশ্বনেতাদের প্রতিবাদ
ফিলিস্তিনি : গাজা উপত্যকার আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। টিভিতে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে।
ওই ভাষণে আব্বাস বলেন, ‘হাসপাতালের এ হামলাটি জঘন্য যুদ্ধ গণহত্যা। এটি সহ্য করা যায় না। ইসরায়েল চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা আমাদের ভূমি ছেড়ে কোথাও যাবো না এবং কাউকে আমাদের উচ্ছেদও করতে দেবো না।’
এছাড়া প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র হাসপাতালে বিমান হামলাকে গণহত্যা এবং মানবিক বিপর্যয় বলে নিন্দা করেছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি বোমা হামলা প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকও বাতিল করেছেন আব্বাস।
জর্ডান : মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে, জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও চলমান যুদ্ধের অবসানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেছেন, গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলা একটি ‘গণহত্যা’ এবং ‘যুদ্ধাপরাধ’। এটি সম্পর্কে কেউ নীরব থাকতে পারে না।
[209186]
এছাড়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফর বাতিল করে দিয়েছে জর্ডান। বুধবার জর্ডানে যাওয়ার কথা ছিল বাইডেনের।
এ সফরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি এবং জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ —এর সঙ্গে বৈঠক করতেন বাইডেন। সেখানে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল তাদের।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, বাইডেনের সঙ্গে এ বৈঠক বাতিল করা হয়েছে; সঙ্গে বাইডেনের সফরও।
মিশর : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় ‘কঠোর ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে মিশর। মিশরীয় সরকার একটি বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এবং গাজায় মানবাধিকারের আরও লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
কাতার : কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলা ওই অঝ্চলে চলমান উত্তেজনা আরও বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি করবে। মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হাসপাতাল, স্কুল এবং জন সমাগম বেশি হয় এমন স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার সম্প্রসারণ সংঘাতের মাত্রা বিপজ্জনক বৃদ্ধি করেছে।’
তুরস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বিবৃতিতে গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নারী, শিশু এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকরা অবস্থান করছেন এমন একটি হাসপাতালে হামলা করার এই ঘটনাটি ইসরায়েলের মৌলিক মানবিক মূল্যবোধ-বর্জিত কর্মকাণ্ডের সর্বশেষ উদাহরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই নজিরবিহীন বর্বরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে আমি সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
কানাডা : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি এই হামলাকে ‘ভয়াবহ এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
একইসঙ্গে ইসরায়েলকে যুদ্ধের আইন মেনে চলার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। কানাডা জোর দিয়ে বলেছে, হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সময় ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।
ট্রুডো সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজা থেকে যে খবর আসছে তা ভয়ঙ্কর এবং একেবারেই অগ্রহণযোগ্য... আন্তর্জাতিক আইনকে এ ক্ষেত্রে এবং সব ক্ষেত্রেই সম্মান করা দরকার। যুদ্ধের কিছু নিয়ম রয়েছে এবং যুদ্ধের নামে হাসপাতালে হামলা করা গ্রহণযোগ্য নয়।’
ইরান : ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের বিমান হামলাকে নিরস্ত্র ও অরক্ষিত মানুষের ওপর হামলা বলে নিন্দা করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য সামনে এনেছে।
এছাড়া গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ‘এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী ও শিশুর ওপর গণহত্যা চালানোর’ পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সাবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে এক হাজারেরও বেশি নিরপরাধ নারী ও শিশুকে গণহত্যার মতো ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ভয়ানক অপরাধের পর আইএসআইএস এর চেয়েও ঘৃণ্য এই ভুয়া শাসনের বিরুদ্ধে মানবতার বৈশ্বিক ঐক্যের সময় এসেছে।’
এতে তিনি আরও বলেন, ‘টাইম ইজ ওভার (সময় শেষ)।’
যুক্তরাষ্ট্র : এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় ‘ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে দুঃখিত’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছেন তিনি।
ইসরায়েল সফরে যাওয়ার সময় এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে বিস্ফোরণ এবং এর ফলে যে ভয়াবহ প্রাণহানি ঘটেছে তাতে আমি ক্ষুব্ধ এবং গভীরভাবে দুঃখিত।’
বাইডেন বলেছেন, হাসপাতালে হামলা ও প্রাণহানির ‘খবর শোনার সাথে সাথে’ তিনি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে কথা বলেছেন। এছাড়া ‘গাজায় ঠিক কী ঘটেছে সে সম্পর্কে জাতীয় নিরাপত্তা দলকে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাওয়ার’ নির্দেশও দেওয়ার কথা জানিয়েছে তিনি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের সময় বেসামরিক মানুষের জীবনের সুরক্ষার জন্য দ্ব্যর্থহীনভাবে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এই ট্র্যাজেডিতে নিহত বা আহত রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং অন্যান্য নিরপরাধ ব্যক্তিদের জন্য শোক জানাই।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) : গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ইসরায়েলি বোমা হামলার নিন্দা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন, ডব্লিউএইচও আল আহলি আরব হাসপাতালে হামলার তীব্র নিন্দা করছে। প্রাথমিকভাবে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে হাসপাতালে হওয়া এই হামলায় শত শত মানুষের প্রাণহানি এবং আহতের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা এবং গাজার ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশগুলোকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই।’
আরব লীগ : অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আরব লীগ। এই গোষ্ঠটির প্রধান আহমেদ আবুল গেইত বলেছেন, এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট বিপর্যয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে আন্তর্জাতিক নেতাদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কোন শয়তানসুলভ ও পৈশাচিক মন ইচ্ছাকৃতভাবে একটি হাসপাতাল এবং সেখানে অবস্থানরত অরক্ষিত মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ করতে পারে? আরব দেশগুলো যুদ্ধাপরাধের এসব ঘটনা নথিভুক্ত করবে এবং অপরাধীরা তাদের কর্ম থেকে রেহাই পাবে না।’
হামলার দায় অস্বীকার ইসরায়েলের : ফিলিস্তিনের গাজার আল-আহলি আল-আরবি হাসপাতালে হামলার দায় সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার হাসপাতালটিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ হামলা হয়। হামলায় অন্তত ৫০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতার কথা ইসরায়েল স্পষ্টভাবে, খুব দৃঢ়তার সঙ্গে অস্বীকার করেছে।
গাজার হাসপাতালটিতে হামলার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন আরব নেতারা।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন বাইডেন। এ ছাড়া আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তাঁর জর্ডানে যাওয়ার কথা ছিল। বৈঠক বাতিল হওয়ায় এখন আর তিনি জর্ডানে যাচ্ছেন না। সূত্র : এজেন্সি
এমটিআই