এক বছরে সুনাক দম্পতির সম্পদ বাড়ল রাজার ১২ গুণ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ১১:৩০ এএম

ঢাকা : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির ব্যক্তিগত সম্পদ গত এক বছরে ১২২ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়েছে। এই সময়ে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সম্পদ বেড়েছে মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলার। সানডে টাইমসের তৈরি করা বার্ষিক ধনীতালিকা অনুযায়ী, ঋষি সুনাক ও তার স্ত্রী বর্তমানে ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ডের মালিক। ২০২৩ সালে তাদের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫২৯ মিলিয়ন পাউন্ড।

অন্যদিকে ২০২৩ সালে রাজার সম্পদ ছিল ৬০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এবার ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়ে হয়েছে ৬১০ মিলিয়ন পাউন্ড।

সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের লাখ লাখ মানুষ যখন জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন এ দম্পতির সম্পদ বিপুলহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে বিভিন্ন জরিপে যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষ তাদের প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণনা করার জন্য ‘ধনী’ শব্দটি প্রচুর ব্যবহার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এ অঙ্ক সুনাকের সম্পদ নিয়ে জনমানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও তির্যক করবে।

[223647]

গত বছর এ দম্পতির সম্পদ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছিল ইনফোসিসে থাকা অক্ষতা মূর্তির মালিকানা। ৭০ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় এ তথ্যপ্রযুক্তি ফার্মটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তার ধনকুবের বাবা। ওই বছর অক্ষতার শেয়ারের মূল্যমান ১০৮ মিলিয়ন পাউন্ড বেড়ে প্রায় ৫৯০ মিলিয়ন পাউন্ডে দাঁড়ায়। তবে ২০২২ সালের সম্পদের তুলনায় এ বছর এ দম্পতির সম্পদের পরিমাণ কম। ২০২২ সালে ঋষি-অক্ষতার সম্পদ অনুমান করা হয়েছিল ৭৩০ মিলিয়ন পাউন্ড।

ঋষি সুনাকের পরিবারের যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। জীবনের ২০-এর কোঠার বেশিরভাগ ও ৩০-এর দশকের শুরুটা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট কোস্টে কাটিয়েছিলেন সুনাক। সেখানে স্ট্যানফোর্ড বিজনেস স্কুলে অক্ষতার সঙ্গে পরিচয় হয় তার।

[223639]

তালিকা অনুযায়ী, ব্রিটেনে শতকোটিপতির সংখ্যা কমেছে। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ১৭৭। গত বছর তা কমে আসে ১৭১-এ। বর্তমানে এ সংখ্যা আরও কমেছে যুক্তরাজ্যে এখন ধনীর সংখ্যা ১৬৫ জন।

তালিকার তথ্যমতে, ব্রিটেনের ৩৫০ শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ও পরিবারের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৫ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন পাউন্ড। এ বছর আবারও তালিকার শীর্ষে গোপী হিন্দুজা ও তার পরিবার। হিন্দুজা গ্রুপের মালিক পরিবারটির সম্পদ ৩৫ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এমটিআই