আরও ৩০টির বেশি দেশের নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খুব শিগগিরই ৩০টির বেশি দেশের নাগরিকের ওপর নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোয়েম বলেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হওয়ার সংখ্যা নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে চান না, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে কয়েকটি নতুন দেশ নিয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করছেন। তার ভাষায়, “সংখ্যা ৩০-এর চেয়েও বেশি হবে।”

এর আগে এই বছরের জুনে ট্রাম্প প্রশাসন ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং আরও ৭ দেশের ওপর কঠোর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। বিদেশি সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যুকে এসব সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে হোয়াইট হাউস।

এই নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী, পর্যটক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী—সব ধরনের ভ্রমণকারীর ওপরই প্রযোজ্য।

সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, যেসব দেশ নিজেদের নাগরিকদের পরিচয় নির্ভরযোগ্যভাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ, বা যেসব দেশে স্থিতিশীল প্রশাসন নেই—সেসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া নিরাপদ নয়।

তার বক্তব্য— “যদি তারা নিজেদের মানুষকেই সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পারে, তাহলে আমরা কেন তাদের আমাদের দেশে ঢুকতে দেব?”

রয়টার্সের একটি আগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি অভ্যন্তরীণ নথিতে অতিরিক্ত ৩৬টি দেশকে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব ছিল। নোয়েমের বক্তব্য নতুন করে সেই আলোচনা সামনে এনেছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পরই অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থান নেয়। তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি একজন আফগান শরণার্থী, যিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় প্রবেশ করেছিলেন। ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই বলছে— ওই কর্মসূচিতে যথাযথ নিরাপত্তা যাচাই হয়নি।

ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন যে তিনি “সব থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশ থেকে অভিবাসন সাময়িক নয়, স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চান”, যদিও তিনি কোন কোন দেশকে এই ক্যাটাগরিতে ফেলছেন তা স্পষ্ট করেননি।

বাইডেন আমলের সিদ্ধান্তগুলোও পর্যালোচনায়, ট্রাম্পের নির্দেশে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বর্তমানে, বাইডেন প্রশাসন্ত আমলে অনুমোদিত শরণার্থীদের মামলা, এবং ১৯টি দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পুনর্বিবেচনা করছে।

এম