ঢাকা: ভারতে নির্বাসিত তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা জানিয়েছেন, তার অবর্তমানে যাকে উত্তরসূরি বেছে নেওয়া হবে তিনি তাদের কয়েক শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে বজায় রাখবেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তার ‘গাহদেন ফোড্রাং ট্রাস্ট’। এই প্রসঙ্গে অন্য কারো ‘হস্তক্ষেপ’ চলবে না।
এদিকে চীন তার এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, পরবর্তী দালাই লামা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চীনের সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।
দালাই লামা তার ৯০ তম জন্মদিনে নিজের উত্তরসূরি সম্পর্কে কোনো সূত্র দিতে পারেন এই ব্যাপক প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। তার আগেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত অনুসারীরা উত্তর ভারতের ধর্মশালায় জড়ো হয়েছেন।
অতীতে উত্তরসূরির বিষয়ে তাকে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত দেখা গিয়েছিল। তবে বুধবার এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের প্রধান পেনপা সেরিং জানিয়েছেন দালাই লামার সিদ্ধান্তকে তারা সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করছেন।
পাশাপাশি জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিব্বতীরা দালাই লামাকে ‘তিব্বতী বৌদ্ধ ধর্মের’ প্রাতিষ্ঠানিক পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধে সম্মতি জানিয়েছেন দালাই লামা।
এর আগে ৬০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্য ভবিষ্যতেও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কি না সে বিষয়ে দ্বিধায় ভুগতে দেখা গিয়েছিল দালাই লামাকে। তবে দালাই লামা বাছাই করার যে ঐতিহ্য সেটা তারা ভবিষ্যতেও বজায় রাখতে চলেছেন, এই বিষয়টি বুধবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
একটি ভিডিও বার্তায় দালাই লামা জানিয়েছেন, তার অবর্তমানে পরবর্তী দালাই লামাকে বেছে নেওয়া হবে। তার পুনর্জন্মকে খোঁজা এবং শনাক্ত করার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে ‘গাহদেন ফোড্রাং ফাউন্ডেশন’-এর অধীনে হবে এবং ‘এই বিষয়ে অন্য কারও হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে দালাই লামার জ্যেষ্ঠ সহযোগী সামধং রিংপোচের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন, তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা তার উত্তরসূরি কে হবেন সে সম্পর্কে অন্য কোনো বার্তা দেবেন কি না।
উত্তরে সামধং রিংপোচ বলেন, এই বিষয়ে তখনই জানানো হবে ‘যখন সময় আসবে।’ এই বিষয়ে দালাই লামার কাছ থেকে ‘আর কোনো প্রকাশ্য বার্তা আসবে না’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, পেনপা সেরিং জানিয়েছেন, দালাই লামার জন্মদিন উদযাপনের আগে যে ১৫তম তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে অংশগ্রহণকারী সকলেই দলাই লামার উত্তরাধিকার সম্পর্কে ঘোষণাকে সমর্থন করেছেন।
আইএ