গাজা দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ১০:১৯ এএম

ঢাকা: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) এক সরকারি বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) যে পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘হামাসকে পরাজিত করার রূপরেখা’ মেনে নিয়েছেন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে অবস্থানরত বেসামরিক মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি হামাসের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির জন্য যে পাঁচটি মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সমর্থন করেছেন অধিকাংশ মন্ত্রিসভার সদস্য।

[254213]

এই পাঁচটি মূলনীতি হলো—হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ, জিম্মি অবস্থায় থাকা বাকি ৫০ জনকে মুক্ত করা (যাদের মধ্যে আনুমানিক ২০ জন জীবিত), গাজা উপত্যকার সামগ্রিক নিরস্ত্রীকরণ, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়—এমন একটি বিকল্প বেসামরিক সরকারের হাতে গাজার প্রশাসন তুলে দেওয়া।

এর আগে বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, গাজাকে দীর্ঘমেয়াদে দখলে রাখার কোনো পরিকল্পনা ইসরায়েলের নেই। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষে গাজার নিয়ন্ত্রণ এমন একটি বেসামরিক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে, যারা ‘ইসরায়েল ধ্বংসে আগ্রহী নয়’। তবে সেই প্রশাসন কারা হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, “আমরা গাজা থেকে হামাসকে উৎখাত করতে চাই, কিন্তু অঞ্চলটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই না। আমরা সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই, শাসন নয়। এমন আরব নেতৃত্বের হাতে গাজা তুলে দিতে চাই, যারা অঞ্চলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবে এবং আমাদের জন্য হুমকি তৈরি করবে না।”

তবে প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ। তিনি বলেন, “এ ধরনের প্রস্তাব মানে হচ্ছে আরও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ, আরও জিম্মির প্রাণহানি এবং বিপুল অর্থের অপচয়।”

ওএফ