মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি কর্মসূচির প্রস্তাবে আংশিক সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। হামাসের ঘোষণার পর শুক্রবার (৩ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে ট্রাম্প উল্লেখ করেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাস স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত। একই সঙ্গে ট্রাম্প ইসরায়েলকে তৎক্ষণাৎ গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বান জানান যাতে দ্রুত ও নিরাপদভাবে জিম্মিদের মুক্তি করা যায়।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী দখলদার বাহিনীর সব বন্দি — জীবিত এবং মৃতদেহ উভয়কেই — মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এই বন্দি বিনিময় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাঠপর্যায়ের নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হবে বলে তারা জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিনিময়ের বিস্তারিত আলোচনার জন্য মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তারা অবিলম্বে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, তারা গাজার প্রশাসন একটি ফিলিস্তিনি স্বতন্ত্র (টেকনোক্র্যাট) সংস্থার কাছে হস্তান্তর করার জন্যও প্রস্তত — তবে তা হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামী বিশ্বের সমর্থন থাকা সাপেক্ষে।
ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শুক্রবার একটি পোস্টও দেন, যেখানে তিনি সময়সীমা উল্লেখ করে বলেন, রোববার (৫ অক্টোবর) ওয়াশিংটন সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এই প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করতে হবে; তা না হলে হামাসের বিরুদ্ধে ‘অভূতপূর্ব নরক’ নেমে আসবে—এমন হুমকিস্বরূপ ভাষাও ব্যবহার করেন তিনি।
অবশ্য হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে তারা বিনিময়ের সূত্র গ্রহণ করছে, কিন্তু মাঠপর্যায়ের শর্তাবলী পূরণ ও ভবিষ্যৎ গাজার প্রশাসন সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো এখনও জাতীয় কাঠামোর মধ্যেই আলোচ্য। ফলে চূড়ান্ত চুক্তি ও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া এখনো অনিশ্চিত — পরবর্তী কৌশল নির্ভর করবে মধ্যস্থতাকারী ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর আলোচনার ওপর।
এম