যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনের গাজায় বাহিনী পাঠিয়ে হামাসকে দমন করার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যদি শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করা হয় তাহলে হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্রাম্প মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, অনেক মধ্যপ্রাচ্যীয় ও পার্শ্ববর্তী দেশ তাঁর অনুরোধে গাজায় শক্তিশালী বাহিনী মোতায়েনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে—তারা সুযোগ পেলে হামাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রস্তুত। তিনি কোনো দেশকে বিশেষভাবে নাম না করলেও ইন্দোনেশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং জাকার্তা ও অনেকে শান্তি-প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও সরাসরি হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা বলা হয়নি।
ট্রাম্প আরও সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি শর্ত পূরণ না করে বা শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে, তাহলে তাদের ‘দ্রুত, ক্ষিপ্র ও কঠোর’ জবাব দেওয়া হবে।
আল জাজিরার সূত্রে জানা যায়, ১০ অক্টোবর থেকে শান্তি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই গাজার পরিস্থিতি নাজুক। ইসরায়েল বলছে নিরাপত্তা চিত্রের কারণে ত্রাণ ও চলাচল সীমিত করা হয়েছে; গাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, চুক্তির পর মাত্র ৯৮৬টি ত্রাণ ট্রাক প্রবেশ করেছে—প্রত্যাশিত ৬৬০০টির বড় ফারাক রয়েছে। সাম্প্রতিক বিমান হামলার পরে ত্রাণ চলাচল আরও কঠোরভাবে বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল, যদিও তারা হামাসকে দায়ী করেছে; হামাস এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্প বারবার জোর দিয়েছেন, হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে। তবে হামাসের দাবী—তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে যদি একটি স্বতন্ত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়—এই শর্ত এখনও অমীমাংসিত।
এম