এক সন্তান নীতি বন্ধে জনসংখ্যা বাড়ছে চীনে

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ১১:০৪ পিএম

ঢাকা: বিশ্বের সবচাইতে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন। দেশটির জনসংখ্যা এখন একশো পঁয়ত্রিশ কোটির উপরে। চীনে সন্তান ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন নারীর সংখ্যা কমে গেছে। দেশটিতে সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীর সংখ্যা ইদানীং কমে যাচ্ছে। এক সন্তান নীতি মালা শিথীল করায় এক বছরের ব্যবধানে প্রায় দুই কোটি শিশুর জন্ম হয়েছে। দেশটি বলছে, তাদের জনসংখ্যা বাড়ছে।

দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০০ সালের পর এখন সবচাইতে বেশি। গত বছর চীনে এক কোটি আশি লক্ষের বেশি শিশু জন্ম নিয়েছে। যার হার তার আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মধ্যে দেশটিতে আরো দুই কোটি শিশু জন্ম নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে ১৯৭৯ সাল থেকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে এক সন্তান নীতিমালা অনুসরণ করা হচ্ছিলো।

অর্থাৎ দম্পতিরা একটির বেশী সন্তান নিতে পারতো না।

সেই নীতি বাস্তবায়ন করতে দেশটিতে রাষ্ট্র কর্তৃক জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ রয়েছে। ছেলে সন্তানের আশায় কন্যা সন্তান ও ভ্রূণ হত্যার ঘটনাও ঘটেছে প্রচুর। যার কারণে চীনে নারীর সংখ্যাও কমে গেছে। চীনে কোনও ভাইবোন ছাড়া বড় হয়েছে লক্ষ লক্ষ শিশু।

সেই নীতি বছর খানেক আগে শিথিল করা হয়েছে। এখন দেশটিতে দম্পতিরা দুটি সন্তান নিতে পারছেন। আর এর পর থেকেই জনসংখ্যার হার বাড়তে শুরু করে। এক বছরে প্রায় দুই কোটি শিশুর জন্ম যেকোন দেশের জন্য বিশাল একটা ব্যাপার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এরপরও তা চীনের জন্য যথেষ্ট নয়।

প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এক সন্তান নীতিমালা থাকার কারণে সেখানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। মানুষজন বয়স্ক হতে শুরু করেছে, কিন্তু সেই তুলনায় তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়নি।

আর বয়স্ক জনসংখ্যা দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার সামর্থ্য রাখে না। একই সাথে সন্তান জন্মদানেও সক্ষম নয়।

এতে করে শ্রম দিতে সক্ষম প্রতি বছর এমন পঞ্চাশ লাখ জনশক্তি হারাচ্ছে দেশটি, এবং সেটি চলতে থাকবে আগামী আরো অনেক বছর। যতদিন পর্যন্ত না আগামী কয়েক বছরে নতুন জন্ম নেয়া শিশুরা যুব শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/আতা