ট্রাম্পের ঋণ ৫ হাজার কোটি টাকা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০১৭, ০৭:৪৫ পিএম

ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাল আমলে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়ে পড়ছেন। বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হচ্ছেন প্রতিদিন। এবার তার ঋণের তথ্য বেরিয়ে আসছে। ট্রাম্প বর্তমানে ৬৩০ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হজার ৪০ কোটি টাকার ঋণের বোঝা মাথায় রয়েছে তার।

নির্বাচনী বিতর্কের সময় এ তথ্যই দিয়েছিলেন তার প্রচারকর্মীরা। 

কিন্তু ব্লুমবার্গ মনে করে, কর্মীরা বাড়িয়ে বলেছে। সংবাদমাধ্যমটির হিসাব অনুযায়ী ট্রাম্পের সম্পদের পরিমাণ তিন বিলিয়নের কাছাকাছি। ফোর্বস অবশ্য তার নিট সম্পদের পরিমাণ হিসাব করেছে প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের মতো। তবে পত্রিকাটি কেবল তার ২৮টি সম্পদের মূল্য আরোপিত করেছে।

তাদের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ট্রাম্পের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৬০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩০ মিলিয়ন ডলারে। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১০ বিলিয়নের বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় দৃশ্যমান অনেক সম্পদের পাশাপাশি অদৃশ্যমান অনেক সম্পদ রয়েছে, যাকে আর্থিক মূল্যে হিসাব করা অসম্ভব। তার দৃশ্যমান সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিউইয়কের্র ট্রাম্প ট্রাওয়ার, ম্যানহ্যাটানে ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার, লাস ভেগাসে স্বর্ণখচিত ট্রাম্প হোটেল, ফ্লোরিডায় পাম বিচ স্টেট, স্কটল্যান্ডে ট্রাম্প টর্নবেরিসহ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ১৬টি গলফ কোর্স।

ট্রাম্প তার আয়কর রিটার্ন কখনও দাখিল করেননি। আর করলেও খুব একটা লাভ হতো না। ট্রাম্পের কোম্পানিগুলোর কয়েকটি দেউলিয়াও হয়েছিল। এর মধ্যে ট্রাম্প তাজমহল দেউলিয়া হয়েছিল ১৯৯১ সালে আর ট্রাম্প ক্যাসল ১৯৯২ সালে। 

নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে বলা হয়েছিল ট্রাম্প তার আয়কর তথ্য প্রকাশ করবেন। এখন তা নিরীক্ষা চলছে। কিন্তু নির্বাচন শেষে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও সেই নিরীক্ষার তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। ট্রাম্পের আয়কর উপদেষ্টা অবশ্য তা প্রকাশ করার বিপক্ষে।

অথচ অধিকাংশ মার্কিনি চায় ট্রাম্প তার সম্পদের তথ্য প্রকাশ করুক। এক জরিপে সেই তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছিল নির্বাচনের আগে।

সোনালীনিউজ/আতা