ঢাকা: ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা যোগী আদিত্যনাথ। এতে অনেকেই ধর্মীয় মেরুকরণের সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন। তবে আজ নয়, রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক বিতর্কিত মুখ তিনি।
রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে আদিত্যনাথের সাম্প্রদায়িক মন্তব্য চিরদিনই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। তিনি লাভ জেহাদ, গো-সংরক্ষণ, জোর করে ধর্মান্তকরণ, তিন তালাক কিংবা কবরস্থান বনাম শ্বশ্মান সব ব্যাপারেই সমালচিত হয়েছেন। এর জন্য তাকে জেলও খাটতে হয়েছে। এমনকি এখনও তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও রয়েছে।
কিন্তু কে এই বিতর্কীত আদিত্য?
পারিবারিক নাম অজয় সিং বিস্ত। তরুণ বয়সে পরিবার ছেড়ে দীক্ষা নেন। নাম পাল্টে হন যোগী আদিত্যনাথ। পুরোহিত হন। নাম লেখান রাজনীতিতে। সেই আদিত্যনাথই এখন ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
তৎকালীন অখণ্ড উত্তর প্রদেশের গাড়ওয়ালে ১৯৭২ সালে জন্ম নেন অজয়। গাড়ওয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অঙ্কে স্নাতক করেন।
২১ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন অজয়। উত্তর প্রদেশের পূর্ব প্রান্তের গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত অদ্বৈতনাথের শিষ্য হন। দীক্ষা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ নাম গ্রহণ করেন। পরে গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হন।
১৯৯৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পূর্ব-উত্তর প্রদেশের গোরখপুর সংসদীয় আসনে প্রথম নির্বাচিত হন আদিত্যনাথ। তারপর থেকে সেই আসনেই এক নাগাড়ে পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। শুধু তাই নয়, ঐ অঞ্চলের মোদীর সমান্তরাল রাজনৈতিক শক্তির এক ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠেন আদিত্যনাথ। মোদী এবং আদিত্যনাথের মধ্যে এক প্রচ্ছন্ন অহংবোধ কাজ করেছে বলে নাকি মোদী মন্ত্রিসভায় তার স্থান হয়নি – এমনটা ধারণা অনেকেরই।
যোগী আদিত্যনাথ প্রথম থেকেই কট্টরপন্থি হিন্দু সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস), বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচএস) এবং হিন্দু যুব বাহিনীর বড় মাপের নেতাও বটে।
সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই