কাতার সংকট সমাধানে উদ্যোগ নিল কুয়েত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৭, ০৯:০৩ পিএম

ঢাকা: উদ্ভূত সংকট সমাধানে আরব দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছে কাতার বলে জানিয়েছেন কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যেকোনো বিষয় নিয়ে আরব দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছে দোহা। রোববার (১১ জুন) তিনি এ কথা বলেছেন। সমস্যা সমাধানে কুয়েতের পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে সৌদি আরবের ওপরে প্রভাব খাটানোর মতো সম্পর্ক নেই কুয়েতের, তারপরেও দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে।

কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহ বলেছেন, কুয়েত উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমস্যার গভীরে গিয়ে তা সমাধান করা ও আরব দেশগুলোর মধ্যে দুরত্ব তৈরিকারী বাধাগুলো সরিয়ে ফেলতে এই উদ্যোগ। যদি সমস্যার মূলে যেতে পারি, তাহলে সমাধান করা সম্ভব। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে অনেক বৈসাদৃশ্য দুরত্ব তৈরি করেছে। আমরা চেষ্টা করছি এই বৈসাদৃশ্যর বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসতে। যদি আনা যায়, তাহলে সমাধান দ্রুত সম্ভব।

দোহার সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব অমিরাত, মিসর ও বাহরাইনসহ আট দেশ তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। বন্ধ করে দিয়েছে নৌ, বিমান ও স্থল পথের সীমান্ত। দেশগুলোতে অবস্থানরত কাতারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত যেতে বলেছে। অপরদিকে কাতারে বসবাসরত নিজ দেশের নাগরিকদেরও ফিরে যেতে বলেছে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো। 

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে আটটি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। অবশ্য কাতার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে ওই আট দেশ যে অভিযোগ এনেছে তা  সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের ছোট উপদ্বীপ রাষ্ট্র কাতার। দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের আগে প্রতিবেশি আরব দেশগুলো থেকে ৮০ শতাংশ খাবার আমদানি করতো দেশটি।  ব্যবসা বাণিজ্যের বড় একটি অংশ হয় এই দেশগুলোর সঙ্গে। দেশগুলোতে যেভাবে পণ্য রপ্তানি করে, ঠিক তেমনি আমদানিও  করে থাকে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আট রাষ্ট্রকে কাতারের সঙ্গে করা বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে করতে হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় কোনো দেশের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। তারা দাবি করেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির প্রভাব অন্য কোনো খাতে পড়া ঠিক না। এতে দুই দেশ ও তাদের জনগণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাতারের সঙ্গে অন্য সকল সম্পর্ক ঠিক রেখে শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

আরব বিশ্বের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হলেও কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে অনেক রাষ্ট্র।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা