তিনি সাহস করে থামিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতির গাড়ি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৭, ০৮:৩৮ পিএম

ঢাকা: দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির গাড়ি যে পথ দিয়ে যায়, সচরাচর সে পথ আটকে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এমনকি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকেও ছাড় দেয়া হয় না।

কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা গেল বেঙ্গালুরুর এক সাব ইনসপেক্টরেরে ক্ষেত্রে। তিনি অ্যাম্বুলেন্সকে আগে যাওয়ার রাস্তা করে দিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির গাড়ি থামিয়ে দিলেন!

গত শনিবার (১৭ জুন) এম এল নিজলিঙ্গাপ্পা নামে ওই পুলিশকর্মী তথ্যপ্রযুক্তি নগরীর ট্রিনিটি সার্কল এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। সেদিনই রাষ্ট্রপতি বেঙ্গালুরুতে যান মেট্রোর গ্রিন লাইনের উদ্বোধন করবেন বলে।

তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাবেন, তাই যানচলাচল পুরোপুরি মসৃণ রাখার দায়িত্ব ছিল নিজলিঙ্গাপ্পার। সেটা মাথায় রেখেই কাজ করছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতির গাড়ি যখন রাজভবনের দিকে এগচ্ছিল, নিজলিঙ্গাপ্পার নজরে পড়ে, অ্যাম্বুলেন্সটি গাড়ির ভিড়ে আটকে রয়েছে। সেটি হিন্দুস্থান এয়ারোনটিক্স লিমিটেড (হ্য়াল)-এর কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিল। সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি তিনি। মানবিকতার খাতিরে রাষ্ট্রপতির গাড়ি আটকে রেখে আগে অ্যাম্বুলেন্সকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেন, এর পরিণতি কী হতে পারে, না ভেবেই।

পরে একটি সংবাদপত্রকেও বলেন, ইমার্জেন্সি কেস, তাই ওপরমহলের কর্তাদের জানিয়ে আগে চলে যেতে দিই অ্যাম্বুলেন্সকে। হাতে যথেষ্ট সময় ছিল, রাস্তায়ও জায়গা ছিল যথেষ্ঠ। ঠিক করি, কনভয়ের আগে অ্যাম্বুলেন্সকে যেতে দেব।

এরপর যা হল, সেটাও কম বিস্ময়কর নয়। বেঙ্গালুরু পুলিশ নিজলিঙ্গাপ্পার পরিস্থিতি দ্রুত বিচার করে অ্যাম্বুলেন্সটিকে আগে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে পুরস্কার দেবে বলে ঘোষণা করেছে।

তাঁর ঊধ্বর্তন কর্তারাও নিজলিঙ্গাপ্পার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ট্যুইটারেও বাহবা পাচ্ছেন তিনি। পুলিশ কমিশনার প্রবীণ সুদ ট্যুইট করেছেন, ওয়েল ডান। ওই পুলিশকর্মীকে এমন পদক্ষেপের জন্য পুরস্কৃত করা উচিত।-এবিপি আনন্দ

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ