ঢাকা: কাতারকে দেয়া সৌদি আরব ও তার মিত্রদেশের ১৩টি দাবি বাস্তবায়ন করার সময়সীমা শেষ হওয়ায় দেশটির ওপর অবরোধ বহাল থাকবে। সৌদি মিত্রদের দেয়া সর্বশেষ সময় ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয় বুধবার (৫ জুলাই) এদিন সৌদি আবর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরা ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কায়রোতে বৈঠকে বসেন; বৈঠক শেষে তাদের এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানানো হয়।
কাতার সংকট সমাধানে আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ, তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি তুলে দেয়া ও ইরানের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করা সহ ১৩টি দাবি দিয়েছিল আরব দেশগুলো, কিন্তু সেই দাবি মেনে নেয়নি কাতার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান আল থানি বলেছেন তার দেশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে সেটা সমাধানের জন্য একটা সঠিক কাঠামোর দরকার।
তিনি এখানে বলছিলেন যেটা আমাদের দরকার এখন সেটা হল একটা প্রক্রিয়া ঠিক করা। কাতার একটি সিরিয়াস আলোচনায় আগ্রহী। যেটা একটা টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান এনে দেবে।
কাতাকে দেয়া সব শর্ত বাস্তবায়ন যোগ্য নয় বলে জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সেই সাথে বাস্তবসম্মত শর্ত দিয়ে কতারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেছেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি।
সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব শর্তের ব্যাপারে নিজ দেশের অবস্থানও তুলে ধরে কাতার। শর্ত মেনে না নেয়ায় নিন্দাও জানিয়েছে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তাদের দাবিগুলোর তালিকার প্রতি কাতারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়। দেশগুলো বলছে, তাদের শর্তের ব্যাপারে কাতারের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় আরব দেশগুলো হতাশ।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল জুবায়ের বলেছেন কাতারকে চ্যালেঞ্জ করা ছাড়া এই অঞ্চলের দেশ গুলোর আর করার কিছুই নেই।
কাতার সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডের প্রতি দৃষ্টিপাত করছে না। আমরা যেটা করছি সেটা কাতারকে আঘাত করার জন্য নয় বরং দেশটিকে সাহায্য করায় আমাদের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই