চালকের আসনে সৌদি নারীরা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৮, ১১:০২ পিএম

ঢাকা : নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চালকের আসনে বসেছেন সৌদি আরবের নারীরা। গত শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে যখন গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, তখনই অনেক নারী গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে এই বিজয় উদযাপন করেন। আলজাজিরা ও সিএনএনের খবর।

শনিবার রাতে নারীরা পূর্বাঞ্চলীয় শহর খোবারের প্রধান সড়কে চালকের আসনে বসে  গাড়ি হাঁকিয়ে বেড়িয়েছেন। প্রথমদিকে যেসব নারী ড্রাইভিংয়ের লাইসেন্স পেয়েছেন, তাদের একজন জেদ্দার ৪৭ বছর বয়সী মনোবিজ্ঞানী সামিরা আল-ঘামদি।

তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুত। এটি আমাদের জীবনকে পাল্টে দেবে। এরই মধ্যে যাদের গাড়ি চালানোর বিদেশি লাইসেন্স রয়েছে, তারা চলতি মাসের শুরুর দিকে তা পরিবর্তন করে নিজ দেশের লাইসেন্স নিতে শুরু করেছেন। তাই সংখ্যাটা এখনো কম। তবে অনেকেই এরই মধ্যে রাষ্ট্র পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় গাড়ি চালানো শিখছেন।

আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ নারী চালকের সংখ্যা ৩০ লাখ হবে। তবে এখনো অনেকে রক্ষণশীল আত্মীয়স্বজনের বাধার মুখে পড়ছেন। কেউ কেউ আবার ব্যক্তিগত চালক দিয়ে গাড়ি চালাতে অভ্যস্ত।

কারণ, তারা মনে করছেন ব্যস্ত মহাসড়কে তারা গাড়ি চালাতে পারবেন না। সৌদি আরব ছিল একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল। এই দিনটির জন্য দেশটির নারী অধিকারকর্মীদের লড়তে হয়েছে প্রায় ৩০ বছর। ১৯৯০ সালে রিয়াদে গাড়ি চালানোর জন্য কয়েক ডজন নারীকে গ্রেফতার করা হয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে অনেক নারীকে কারাবরণ করতে হয়েছে।  

নারীদের ওপর থাকা এই নিষেধাজ্ঞা প্রথমবারের মতো গত বছরের সেপ্টেম্বরে উঠিয়ে নেওয়ার কথা জানায় দেশটি। আর এই মাসের শুরুর দিকে মেয়েদের প্রথম লাইসেন্স দেওয়া হয়। দেশকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বেশ কিছু পদক্ষেপের একটি অংশ এটি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই