১৮ ছাত্র-শিক্ষক মিলে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ!

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০১৮, ০৩:৫১ পিএম

ঢাকা : প্রথমে সহপাঠী এরপর সহপাঠীর বন্ধুরা এরকম করে করে মোট ১৮ জন মিলে এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিহারের ছাপরার একটি স্কুলের ঘটনা  শনিবার (৭ জুলাই) ভারতীয় গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা জেল খাটছিলেন। আর সেই সুযোগ নিয়ে গত সাত মাস ধরে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের করেছে।

১৩ বছরের ওই ছাত্রী এই ঘটনায় জড়িত মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ ও দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুই ছাত্রকেও। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭-র ডিসেম্বরে। ছাত্রীর অভিযোগ, সে মাসেই তাকে প্রথম ধর্ষণ করে তারই সহপাঠী এক ছাত্র। এর পর শুরু হয় ব্ল্যাকমেলের পালা। পাশাপাশি চলতে থাকে হুমকিও। এর পর ওই ছাত্রের সঙ্গে যোগ দেয় আরও ৪-৫ জন ছাত্র। তার পর স্কুলের অধ্যক্ষ এবং দুই শিক্ষক। এই ভাবে বাড়তে বাড়তে সংখ্যাটা এক সময় ১৮-য় গিয়ে দাঁড়ায়।

ধর্ষণের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি, ব্ল্যাকমেল করতে থাকে অভিযুক্তরা। বাবা জেল খাটার কারণে ঘটনাটা কাউকে জানানোর সাহস পায়নি বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই ছাত্রী। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই বাবাকে গোটা ঘটনাটি জানায় সে।

এরপরই মেয়েকে নিয়ে ওই ব্যক্তি পুলিশের দ্বারস্থ হন। ছাপরার পারসাগড়ে একমা থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে ওই ছাত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় স্কুলের অধ্যক্ষ এবং দুই শিক্ষককে। আটক করা হয় দুই ছাত্রকে। মহিলা থানায় ছাত্রীটির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তদন্তের জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই