ঢাকা: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে টালমাটাল দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। বহুল আলোচিত ব্রেক্সিট ইস্যুর জেরে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বোরিস জনসন।
সোমবার (৯ জুলাই) ব্রিটেনের ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ড্যাভিসের পদত্যাগের কয়েকঘণ্টার মধ্যে ব্রিটিশ এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে যুক্তরাজ্যের দরকষাকষিতে ডেভিস মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জনসনকে তার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, শিগগিরই নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।
ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের পরিকল্পনাটি শুক্রবার (৬ জুলাই) মন্ত্রী সভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। ওই বৈঠকেই পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী সভার মধ্যে মত বিভেদ ছিল। রোববার (৮ জুলাই) গভীর রাতে দেয়া পদত্যাগ পত্রে এই পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেন ব্রেক্সিট সচিব ডেভিস।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, প্রধানমন্ত্রী মে যে নীতি আর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে পারবে বলে তার মনে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যকে দরকষাকষিতে দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লওরা কুয়েনসবার্গ বলেছেন, জনসনের পদত্যাগ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিব্রতকর এবং জ্বলন্ত এক সঙ্কটে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, জনসন শুধুমাত্র মন্ত্রিসভার একজন সদস্য ছিলেন না, বরং তিনি ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট ইস্যুতে গণভোটের প্রচারণার পরিচিত মুখ ছিলেন। জনসনের এই পদত্যাগ দেশটিতে নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম