সুনামিতে নিহত বেড়ে ৪০০

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮, ১০:২৬ এএম

ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ায় শনিবার রাতে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০০ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ১৫শ মানুষ এবং নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ১২৮ জন। ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের।

দেশটির দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

এদিকে আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ফের সুনামির আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে তিন হাজারের বেশি মানুষকে জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় সুনামির দুটি বিশাল ঢেউ সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপের উপকূলীয় শহরগুলো গুঁড়িয়ে দেয়। এতে ধ্বংস হয়েছে ৭শ’র বেশি বাড়ি, ছোট ছোট দোকান, ভিলা এবং অনেক হোটেলও।

ইন্দোনেশিয়ান জিওফিজিক্যাল এজেন্সির (বিএমকেজি) ধারণা, এই সুনামির সৃষ্টি হয়েছে ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরতলে ভূমিধসের কারণে। এর সঙ্গে পূর্ণিমার প্রভাব যুক্ত হওয়ায় বিপুল শক্তি নিয়ে সৈকতে আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউ।

রোববার আনাক ক্রাকাতোয়া থেকে ফের ছাই ও ধোঁয়া উদগীরিত হয়েছে। একটি ভাড়া করা বিমান থেকে নেওয়া ভিডিওতে সুমাত্রা ও জাভার মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীর এই আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা ধরা পড়েছে।

এদিকে ধ্বংসস্তুপে রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে, তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে হাতহতদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করতে ভারী ক্রেন পাঠানো হচ্ছে।

মাত্র তিন মাস আগেও যে দেশ সুনামির সাক্ষী হয়েছে, হাজার দুয়েক মানুষের প্রাণ গিয়েছে, সে দেশের লোকজনও প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি আগ্নেয়গিরি ফলে দক্ষিণ সুমাত্রার উপকূল ও জাভার পশ্চিম প্রান্ত সুনামির কবলে পড়েছে।

বরং ভয়াল ঢেউ দেখেও প্রথম দিকে আতঙ্ক না ছড়ানোর আবেদন জানাচ্ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তাদের মনে হয়েছিল, পূর্ণিমায় ভরা জোয়ারের জেরে এমনটা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সুনামি তথ্যকেন্দ্রের দাবি, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সুনামি হওয়াটা বিরল ঘটনা। তাই ভূমিকম্প হলেই সুনামির উদ্বেগ তাড়া করে যে দেশকে, তাদের ধন্দে ফেলে দিয়েছে আনাক ক্রাকাতোয়া। ভূমিকম্পে যে সুনামি আসে, তাতে আগাম সতর্কতার কিছু সুযোগ থাকলেও অগ্ন্যুৎপাতে সুনামির বেলায় সেটা সম্ভব হয় না। শনিবার কিছু বোঝার আগেই তাই ভেসে যান কয়েকশো মানুষ। সূত্র: রয়টার্স


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন