বাংলাদেশে শীতের মওসুম খুব বেশি লম্বা নয়-টেনেটুনে তিন মাস। এ সময় এসি ব্যবস্থাপনায় বাড়তি সাবধানতা জরুরি না হলেও একটি অভ্যাস যন্ত্রটিকে দীর্ঘদিন ভালো রাখে-শীতে এসি ঢেকে রাখা। এতে যন্ত্রের ভেতরে ধুলো কম জমে এবং সংবেদনশীল অংশগুলো অযাচিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
শীতকালে ধুলোবালির প্রবণতা অনেক বেশি থাকে। ঘরের বাইরে-ভেতরে বাতাসে থাকা ধুলো এসির কনডেনসার ও কয়েলে জমে যন্ত্রের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। শীতের সময়ে এসি কম ব্যবহৃত হওয়ায় এই ঝুঁকি আরও বাড়ে। ঢেকে রাখলে ধুলো জমা রোধ হয় এবং যন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সুরক্ষিত থাকে।
শুধু ধুলো নয়, শীতের কয়েক মাস এসি বন্ধ থাকায় পোকামাকড় বা ছোট প্রাণী যন্ত্রের ভেতরে ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। ঢেকে রাখলে এই প্রবেশপথ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি বা শর্টসার্কিটের মতো ঝুঁকি কমে আসে।
নিয়মিত ঢেকে রাখলে সার্ভিসিংয়ের প্রয়োজনও কম পড়ে এবং যন্ত্রের আয়ু স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। বাজারে এখন নকশা ও মান অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের এসি কাভার পাওয়া যায়, তাই প্রয়োজন বোঝে যেকোনো সময় কেনা সম্ভব।
তবে শুধু ঢেকে রাখলেই হবে না। শীতের তিন মাসে অন্তত একবার কাভার খুলে ১০ মিনিটের জন্য এসি চালিয়ে নেওয়া ভালো। এতে ভেতরের অংশে জমে থাকা আর্দ্রতা বা অচলাবস্থার কারণে তৈরি সমস্যা দূর হয়। আর শীত শেষে নিয়মিত ব্যবহারের আগে অবশ্যই একটি পুরো সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়াই উত্তম।
যন্ত্রের সুরক্ষা, কম খরচে যত্ন আর দীর্ঘস্থায়িত্ব-সব মিলিয়ে শীতে এসি ঢেকে রাখা এখন আর শুধু পরামর্শ নয়, বরং একটি প্রয়োজনীয় অভ্যাস।
এসএইচ