সন্ত্রাস-মাদক নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের আরও কঠোর হতে হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৭:২২ পিএম

ঢাকা : দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থির যাতে আবারও আর্বিভাব না হতে পারে সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

একই সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের আরও কঠোর হতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডিসি সম্মেলনের পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে ডিসিরা কী অসুবিধা ভোগ করছেন ও কিভাবে কাজ করলে তারা আরো অধিক স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন-সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসিরা যেগুলো বলেছেন সবগুলোই যুক্তিসঙ্গত।

আমরা দেখেছি ইতোমধ্যে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলোও আমরা করে (বাস্তবায়ন) ফেলবো। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ এবং অন্যান্য কার্যক্রম জেলা প্রশাসকেরা করছেন সেগুলো যেনো অব্যহত রাখেন সে বিষয়ে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিসিরা প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনা নেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন- সেই জায়গায় ডিসিরা কাজ করবেন। আবার সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেভাবে আমরা দমন করে চলেছি, সেসব বিষয়ে তারা খেয়াল রাখবেন। যাতে করে আবার যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থিদের আবির্ভাব না ঘটে।

‘মাদক নিয়ে আমাদের যে অভিযানটা চলছে এ অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে ডিসিদের জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। এজন্য তারা স্কুল, ছাত্র-শিক্ষক জনতা সব পেশাজীবীদের এ সংগ্রামে সম্পৃক্ত করবেন সে আহ্বান রেখেছি।

নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। এটা নিয়ে আজকে কোনো আলোচনা হয়নি।

জেলা প্রশাসকেরা তাদের মোবাইল কোর্টের পরিধি বাড়ানোর জন্য সার্বক্ষণিক বিশেষায়িত একটি পুলিশ ফোর্স চেয়েছেন- এ বিষয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মোবাইল কোর্টের পরিধি যেটা প্রয়োজন সেটা অলরেডি হয়ে গেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন বলবৎ রয়েছে। সেজন্য মোবাইল কোর্টের আওতায় যতটুকু আনা হয়েছে সেটা নিয়েও কাজ হচ্ছে।

‘বিশেষ ‍পুলিশ তো প্রয়োজন নেই। কারণ পুলিশ সদস্যরা সবসময় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা করেন। এছাড়া ডিসিদের নির্দেশনায় পুলিশ সব জায়গায় কাজ করছেন। বিজিবি, আনসারসহ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় একসঙ্গে বসে কাজ করেন,’ যোগ করেন তিনি।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই