মুজিববর্ষে নরেন্দ্র মোদিকে আনা হবে কি না জানালেন কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, ০৩:৩৫ পিএম

ঢাকা: ভারতে চলা সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিতে তাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে না আনার দাবি করছেন অনেকে। অনেকে তাকে প্রতিহতের হুমকি দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সভা-সেমিনারে এই দাবি উঠছে।

বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দেব, এটাতো চিন্তাও করা যায় না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী ও সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ ভারত।

তিনি বলেন, আমরা মুজিববর্ষে ভারতকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী ও মিত্র দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করেছি। তাদের দেশের অভ্যন্তরের কোনো বিষয়ে যে সংঘাত, সংঘর্ষ, রাজনৈতিক বিরোধ এটা চিন্তা করেতো আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। আর তাদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের এখানে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে এ বিষয়ে আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করতে পারি। কিন্তু এরকম এটা অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ ভারত এবং স্বাধীনতার যুদ্ধে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী দেশ হিসেবে সে দেশের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দেব, এটাতো চিন্তাও করা যায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দেশেও রাজনীতিতে বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত আছে। এ নিয়ে সরকার আর বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কটা সুখকর নয়। কিন্তু সেটাতো অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব আসার কথা নয়। এখানে মুজিববর্ষ বাংলাদেশের জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিষয়। অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছি। এখানে মুজিবর্ষে ভারতকে আমন্ত্রণ করার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধে ভারত হচ্ছে সর্বোচ্চ সাহায্যদানকারী দেশ। 

ভারত আমাদের শরণার্থীদের সাহায্য করেছে। ভারতই আমাদের অস্ত্র ট্রেনিং এসবের ব্যবস্থা করেছে। সর্বোপরি মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ কমান্ডে মুক্তিযুদ্ধের শেষ অংশে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনে ছিলাম। এখানে আমাদের রক্তের সঙ্গে ভারতের রক্ত মিশে আছে। কাজেই ভারতকে এই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো তো কৃতঘ্নতার পরিচয়। পাশাপাশি অসম্পূর্ণ একটা বিষয় হিসেবে থেকে যায়।’

দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমাদের দেশে সরকারি কোনো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে বিরোধীদলের ভিন্নমত নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ভায়োলেন্স এসব হয়ে থাকে। এটাতো ওই দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বিষয়টি তো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। যেটা আজকে দিল্লিতে ঘটছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমরা কেন অযথা নাক গলাতে যাব। তাদের ইন্টারনাল সমস্যার সমাধান তারাই খুঁজে নেবে।

সোনালীনিউজ/টিআই