বিচারের আওতায় আনা হবে সব যুদ্ধাপরাধীকে : প্রধানমন্

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০১৬, ০২:২৩ পিএম

সোনালীনিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী সব যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে এবং শাস্তি কার্যকর করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অভিশাপমুক্ত হবে। এ সময় তিনি আরো বলেন, জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ড, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

ইংরেজি নববর্ষ ২০১৬ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান তিনি। এ সময় তিনি দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 

পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতারক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ২০১৫ সালকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নববর্ষের বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে জাতিসংঘ পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’, তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারের জন্য আইটিইউ পুরস্কার অর্জনসহ নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকার পদ্মাসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের উল্লেখ করেন।

পাঁচ দশকের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ ৩২তম পরমাণু ক্লাবে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়ার সহায়তায় এক লাখ এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প ‘রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র’ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বৈশ্বিক শান্তিসূচক, ক্ষুধাসূচক, খাদ্যসূচক, লিঙ্গ-বৈষম্যসূচক, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার, বৈশ্বিক সমৃদ্ধিসূচক, বিশ্বগণমাধ্যম সূচকসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং অনেকক্ষেত্রে ভারতের চাইতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।’

বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গতবছর সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ইতিবাচক ছিল এবং এতে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩১৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১০০ এবং উৎপাদন সক্ষমতা ১৪ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের মানবেতর জীবনের অবসানের কথাও উল্লেখ করেন।