উত্তর সিটিতে চিরুনি অভিযানে সোয়া লক্ষ টাকা জরিমানা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২০, ০৫:৪০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন- ডিএনসিসি যে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে দ্বিতীয় দফার চতুর্থ দিন মঙ্গলবার ৯২ টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। ১৩ হাজার ৫৮০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে লার্ভা পাওয়া যায়। গত শনিবার দ্বিতীয় দফায় ১০ দিনব্যাপী এই চিরুনি অভিযান শুরু করে সিটি কর্পোরেশন।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৮ হাজার ৪৭টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে ২২টি মামলায় মোট ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩১০ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন পর্যন্ত  মোট ৫৩ হাজার ১৮৬টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৩৬৭টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৩২ হাজার ৫১৪টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ চারদিনে ৭০টি মামলায় মোট ৮ লক্ষ ২ হাজার ১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সিটি কর্পোরেশন সূত্র আরো জানায়, উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ১১৫ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে ৩টি মামলায় মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৮৩৪টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৭৯৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪০৮টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় মোট ৬৫ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানা করা হয়। 

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫৬৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫২৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৬০টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ২৮৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এসময়ে ৩টি মামলায় মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৭৮১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৪২৭টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ১৩৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ১০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৯২১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৮৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৭৯১টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫৬৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৮৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া  যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩১৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৬৬৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৫৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ