বেতন বৈষম্য নিরসনে সরকারী কর্মচারীদের ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০, ১১:০৫ এএম

ঢাকা: নতুন পে কমিশন ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম। শুক্রবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। দাবি আদায় না হলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ৬৪ জেলার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সভাপতি মিরাজুল ইসলাম বলেন, যুক্তিসঙ্গত মজুরির অধিকার প্রদান রাষ্ট্রের মৌলিক অধিকার। কিন্তু আমাদের সিলেকশন গ্রেড নেই, টাইম স্কেল নেই, পেনশন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

২০ তম গ্রেডের একজন কর্মচারী সর্বসাকুল্যে বেতন পাচ্ছেন মাত্র ১৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়েই তাকে বাড়ীভাড়া, খাবারসহ সব ব্যয় মেটাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বিদ্যুৎবিল, গ্যাসবিলসহ সব মিলিয়ে চলে যাচ্ছে ৭ হাজার টাকা। এর পর পুরো মাসের খরচ চালানোর জন্য তার হাতে থাকে মাত্র ৮ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তাকে পুরো মাসের সংসারের খরচ, পরিবারের কাপড়সহ যাবতীয় খরচ বহন করতে হয়। এর বাইরে তার আয়ের আর কোনো উৎস নেই। বেতনের আকাশ পাতাল বৈষম্য থাকলেও দৈনন্দিন খরচে নেই খুব বেশি পার্থক্য। ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের মাসের ১৫ দিন না অতিবাহিত হতেই শুরু হয় টানাটানি। 

অন্যদিকে বর্তমানে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার মূল বেতন ৮২ হাজার টাকা। এছাড়াও তিনি বাসা ভাড়া হিসেবে পাচ্ছেন ৪১ হাজার টাকা। গাড়ী রক্ষণাবেক্ষনের জন্য পাচ্ছেন ৫০ হাজার টাকা। রান্না করার জন্য বাবুর্চির বেতন এবং দারোয়ানের জন্য পাচ্ছেন ১৬ হাজার করে। টেলিফোন বিল এবং সভার সম্মানিসহ মাসে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা পাচ্ছেন তিনি। বছরে তিন থেকে পাঁচটি বিদেশ সফরে পান অতিরিক্ত কয়েক লাখ টাকা। এমন বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা দাবি জানান তারা।

তাদের দাবি গুলো হলো, এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, সকল পদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর উচ্চতম গ্রেড প্রদান ও ব্লক পোস্ট নিয়মিত করন, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন বেতন জে্যষ্ঠতা বজায় রাখা, সচিবালয়ের ন্যায় পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন, সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারণ, নিলাম বেতন ভোগীদের রেশন ও বিদ্যমান পেনশনের হার ৯০% থেকে ১০০% পুনর্নির্ধারণ, কাজের ধরন অনুযায়ী পদ নাম ও গ্রেড একীভূত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আতাউর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম খান, কার্যকরী সভাপতি কাজী ফাহাদুর রহমান রাজু, প্রচার সম্পাদক সজল বিশ্বাস, মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পান্না। ডাক বিভাগের প্রতিনিধি মাকসুদুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে থেকে সংগঠনটির শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন