শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা অজর্ন করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৮, ২০১৬, ১০:৪৫ পিএম

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারের ভিশন-২০৪১ অনুযায়ী দেশকে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশে রূপান্তর করতে জ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হয়েছে। খুব শিগগির এ দেশ মধ্য আয়ের দেশ হবে। ফলে তোমাদেরকে ভাবতে হবে ভিশন- ২০৪১ অনুযায়ী কিভাবে দেশটি সমৃদ্ধশালী দেশ হতে পারে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ নগরীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৬-এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ভবিষ্যৎ নেতা হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে জাতির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জ্ঞান অজর্নের পাশাপাশি অবশ্যই নেতৃত্বের সক্ষমতা তোমাদেরকে অর্জন করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে অবশ্যই স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লাখ লোকের জীবন উৎসর্গের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীনতা অজর্ন করেছে।

রাষ্ট্রপতি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা মানুষকে মানব সম্পদে রূপান্তর করে এবং সমাজ থেকে প্রতারণা, দুর্নীতি ও অন্যায় দূর করতে প্রধান অস্ত্র হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার্থীদের মেধা ও জ্ঞান বিকাশ হবে প্রধান লক্ষ্য এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য। কেননা শিক্ষা হচ্ছে একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও বিজ্ঞানভিত্তিক দেশ গঠনের প্রধান হাতিয়ার।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষার উপর সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং বর্তমান সরকারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শিক্ষাকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

তিনি বলেন, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ডিগ্রি পযর্ন্ত বৃত্তি দেয়া হচ্ছে এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পযর্ন্ত বছরের শুরু থেকে বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সরকারের শিক্ষাকে ডিজিটালাইজড করার পরিকল্পনা হিসাবে সারাদেশে ইতোমধ্যেই মাধ্যমিক পযার্য়ে ২৩ হাজার ৩৩১টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং শৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, সময়মতো পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠান ও ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বিভাগীয় পযার্য়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং সফলতা অজর্নকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তারা সবসময়ে তাদের জীবনে সফলতা অজর্ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে পদক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা সচিব মো, সোহরাব হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। সূত্র : বাসস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন