মেজর সিনহা হত্যা

ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করেন ওসি প্রদীপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২০, ১২:৫২ পিএম
কক্সবাজারের আদালতে সিনহা হত্যা মামলার চার্জশিট জমা

ঢাকা: বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসের ইয়াবা বাণিজ্যের কথা জেনে যাওয়ায় মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে বাহারছড়া ক্যাম্পের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান ওসি প্রদীপ।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারেে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, হত্যার পর ওই সময়ের পুলিশ সুপার যথাযথ দায়িত্ব পালন করে নাই। তাই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, ইউটিউবের কাজের জন্যই টেকনাফে যান মেজর সিনহা। কাজ করতে গিয়ে ওসি প্রদীপের অপরাধ সম্রাজ্য সম্পর্কে জেনে যান।এক পর্যায়ে ওসি প্রদীপের ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ে মেজর সিনহা ইন্টারভিউ নিতে চান। ওসি প্রদীপের হুমকিতেও কাজ না হওয়ায় মেজর সিনহাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়। হত্যার পর নাটক সাজান প্রদীপরা। ওসি প্রদীপ মেজর সিনহা সম্পর্কে সব জেনে ঠান্ডা মাথায় খুনের ম্যাপ করে। এরপর ওসি প্রদীপ লিয়াকতসহ বাকি আসামিদের নিয়ে মাদক উদ্ধারের নাটক সাজান।

এদিকে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। 

রোববার সকালে কক্সবাজার আদালতে বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।

এর আগে র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম জানান, মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলাটি আমরা নানাভাবে তদন্ত করেছি। তদন্তে পাওয়া তথ্যগুলো সাজিয়ে চার্জশিট হিসেবে জমা দেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। 

সূত্র জানায়, হত্যার ঘটনা তদন্ত নেমে র‌্যাব এখন পর্যন্ত ১৫ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। একমাত্র পলাতক আসামি এএসআই সাগর।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই টেকনাফে মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলীকে।

এরপর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে র‌্যাব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিনজন ছাড়াও এপিবিএন এবং প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে।

সোনালীনিউজ/এমএইচ/আইএ