টাকা পাচারে সরকারি কর্মচারীর সংখ্যাই বেশি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২০, ২০২১, ১২:২৫ এএম

ঢাকা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের যে গুঞ্জন আছে, তার কিছুটা সত্যতা পেয়েছেন। একই সঙ্গে প্রাথমিক যে তথ্য মন্ত্রণালয় পেয়েছে, তাতে দেখা গেছে, টাকা পাচারের ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি।

বুধবার (১৯ মে) রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করেছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেল রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া কিছু ব্যবসায়ী আছে।

টাকা পাচারকারীদের কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ২৮টি ঘটনার তথ্য তারা পেয়েছেন যেগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি।

এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, কানাডায় বিনিয়োগ কারা করেছেন, সে সম্পর্কে খোঁজ দিতে কমিশন আগেই মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল।

দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, আগে তো দেখতে হবে, কারা বিনিয়োগ করেছেন। তারপর তদন্ত করে দেখা যাবে টাকা পাচার হয়েছে কি-না। কারণ বৈধ আয়ও তো বিনিয়োগ হতে পারে এবং সেটিতে তো পাচার বলা যাবে না।

তবে মন্ত্রী যেহেতু পাচারের কথা বলেছেন তাই তিনি সেই তথ্য কমিশনকে দিলে আমরা অবশ্যই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো, বলে মন্তব্য করেন ইকবাল মাহমুদ।

কমিশন নিজ থেকে কিছু করতে পারে কি-না—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই পারে এবং কমিশনের তেমন আইনি ক্ষমতা আছে। কিন্তু আমাকে তো আগে তথ্যগুলো পেতে হবে। সেগুলো পেলেই কেবল আমরা তদন্তের উদ্যোগ নিতে পারি।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থপাচারের বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরেই নানা আলোচনায় আসছে। পুরো কানাডায় প্রায় আশি হাজারের মতো বাংলাদেশি আছেন বলে ধারণা করা হয়। গত এক দশকে বহু উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবী কানাডায় গেছেন অভিবাসী হয়ে।

জানা যায়, ২০০৮ সালের দিকে ও এর পরে ইনভেস্টমেন্ট ক্যাটাগরিতে একটি ভিসা দেওয়া হতো। তখন কানাডায় একটি নির্দিষ্ট অংক বিনিয়োগ করে বা কানাডা সরকারের কাছে অর্থ জমা রেখে ইমিগ্রেশনের সুযোগ ছিল। পরে সেখানকার সরকার এই সুযোগ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এর সুযোগ অনেকে বাংলাদেশি নিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই