নিরাপত্তা বিষয়ে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করল সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০১৬, ০৪:০১ পিএম

নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশি কূটনীতিবিদদের আশ্বস্ত করে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। গুলশানে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন তিনি।

কর্মকর্তারা জানান, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে ব্রিফিংয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে ওই বেকারিতে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি; দেশি বিদেশি অন্তত ৩৩ জন সেখানে জিম্মি হন। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে বার্তা দেয়; সেই সঙ্গে নিহতদের রক্তাক্ত লাশের ছবি তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয় কমান্ডো অভিযানের আগেই। এমন এক সময়ে এই হামলা হয়েছে, যখন দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনায় গুলশান এলাকার নিরাপত্তা আগেই জোরদার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের বলেন, সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। আর বাংলাদেশ এ বিষয়ে অন্যান্য দেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যেতে চায়। সরকার ‘জঙ্গিবাদের শিকড়’ খুঁজে বের করবে বলেও ঢাকায় দায়িত্বরত বিদেশি কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ‘সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়’ রয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও কূটনীতিকদের জানান মন্ত্রী।

এই ব্রিফিং নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গুলশানে হামলার পর বিভিন্ন দেশ ও সরকারের পক্ষ থেকে ফোন করে ও বিবৃতি দিয়ে পাশে থাকার কথা বলায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই