৬টি চোরাই গাড়িসহ গ্রেফতার ৭

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৬, ০৭:৫৪ পিএম

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্রের সাত সদস্যকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১২ আগস্ট) সারা রাত অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুরের তিনটি স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

তাদের কাছ থেকে ৬টি চোরাই গাড়িও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো মিজান মিয়া, আজহারুল ইসলাম, ইসমাইল, মজনু মিয়া, আব্দুর রশিদ, তরিকুল ও আব্দুল হালিম।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার ভোরে একটি গাড়ি চোরাই চক্রের সদস্যরা কেরানীগঞ্জ থেকে একটি চোরাই মাইক্রোবাস বিক্রির জন্য বেড়িবাঁধ হয়ে সাভারের হেমায়েতপুরে নিয়ে যাবে। এ তথ্য পেয়েই উপ-পরিচালক মেজর মোহম্মদ আলীর নেতৃত্বে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশের সড়কে একটি বিশেষ তল্লাশি চৌকি বসায় র‌্যাব। 

রাত পৌনে ৩টার দিকে তিন যাত্রীসহ একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে গাড়ির কাগজ-পত্র দেখাতে বলা হয়। এ সময় ড্রাইভার তার পাশের দ্বিতীয় আসনে বসা এক লোকের সঙ্গে কথা বলতে বলেই পালানোর চেষ্টা করে। আমরা সতর্ক ছিলাম, সে পালাতে পারেনি। এ সময় তাদেরকে তল্লাশি করে দ্বিতীয় আসনে বসা ব্যক্তির (মিজান মিয়া) কোমর থেকে একটি বিদেশি ৯ এমএম পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ ১টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের নাম- মিজান মিয়া, আজহারুল ইসলাম ও ইসমাইল। তারা একটি সংঘবদ্ধ গাড়িচোরাই চক্রের সদস্য। তাদের আরো ২টি চোরাইগাড়ি ও কয়েকজন সহযোগী মোহম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে রয়েছে। 

তাৎক্ষনিক জেনেভাক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরো ১টি প্রাইভেটকার ও ১টি মাইক্রোবাসসহ মজনু মিয়া ও আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আরো কয়েকটি চোরাই গাড়ি ঢাকা উদ্যানের গেটের ঢালে রাখা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের ধরতে ও গাড়ি উদ্ধারের জন্য র‌্যাব সদস্যরা ক্রেতা সেজে ঢাকা উদ্যানে যায়। 

শনিবার (১৩ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে দরদাম করার এক পর্যায়ে একটি প্রাইভেটকার, একটি পিকআপ ও একটি ছোট ট্রাকসহ এ চক্রের সদস্য তারিকুল ও আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। 

র‌্যাব অধিনায়ক জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি চুরি করে সেগুলো বিক্রি করে। এছাড়াও চোরাই গাড়ি ব্যবহার করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে আসছিল। চোরই গাড়ির যন্ত্রাংশ আলাদা করে যাত্রাবাড়ীর ধোলাইখালসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে তারা। 

এছাড়া চোরই গাড়ির মালিককে ফোন করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার চুক্তিতে গাড়ি ফেরত দেবে বলে নির্ধারিত কোন জাগায় যেতে বলে। পরে মালিক আসলে টাকা নেয় কিন্তু গাড়ি ফেরত না দিয়ে প্রতারণা করে পালিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দেয়া তথ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি