সংসদে প্রধানমন্ত্রী

দুঃখের বিষয় একে একে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা ও স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করতে নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩১ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সদ্য প্রয়াত আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের ওপর আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন করেছেন তিনি। অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে অবদান রেখে গেছেন। দুঃখের বিষয় আমরা একে একে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়ে ফেলছি। তিনি শুধু রাজনীতিই করেননি সাংস্কৃতিক জগতেও অবদান রেখেছেন, চলচ্চিত্র জগতে অবদান রেখেছেন। আমরা তাকে জাতীয় সম্মাননায় ভূষিত করি।

‘সংস্কৃতির সেবায় তার মৃত্যুতে আমাদের বিরাট ক্ষতি। সংস্কৃতিকর্মীরা সব সময় আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের পাশে থেকেছেন এবং প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে সাহস যুগিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর তার নামটি মুছে ফেলা হচ্ছিল। নামটি নিতেই চাচ্ছিল না। তখন সংস্কৃতিকর্মীরাই এগিয়ে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধে গানগুলোকে সামনে নিয়ে আসা, আবার সেই স্বাধীনতার চেতনাকে জাগ্রত করার বলিষ্ঠ ভূমিকা তিনি রেখেছেন। তার অনেক অবদান রয়েছে এদেশে। আজকে খুব কষ্ট লাগছে যে, তিনি এভাবে চলে গেলেন। আসলে জন্মালে তো মরতেই হবে এটাই তো বাস্তব কথা’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাদির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমার দাদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মা ১৯৭৪ সালের ৩১ মে মৃত্যুবরণ করেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমার দাদি জন্ম দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যিনি আমাদের জন্য এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। আমার দাদি সায়রা খাতুন তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, আমি তার জন্য জাতির কাছে দোয়া চাই।  

এ শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় আরও অংশ নেন সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আসাদুজ্জামান নূর, মেহের আফরোজ চুমকি, হাবিব হাসান, বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির (জাপা) কাজী ফিরোজ রশিদ ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

সোনালীনিউজ/আইএ