মাসিক নির্বাচন

ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রার্থীদের, আশ্বস্ত করলেন নির্বাচন কমিশনার

  • ময়মনসিংহ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম

ময়মনসিংহ: ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মেয়র প্রার্থীরা। এ সময় নিরপেক্ষ ভোটের নিশ্চয়তা দিয়ে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রিটার্নিং অফিসার, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের আয়োজনে নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ কথা বলেন।

সভায় বক্তব্য দেন মেয়র পদের প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থী। এ সময় মসিকের সদ্য সাবেক মেয়র ও দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. ইকরামুল হক টিটু ইভিএমে ভোট নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা ও অজ্ঞতা রয়েছে বলে জানান। বিশেষ করে সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১২টি ওয়ার্ডের ভোটারদের মধ্যে এ অজ্ঞতা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে ইভিএমে পছন্দের প্রার্থীর প্রতীক থাকবে কি না এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।  

[218389]

টিটু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া মোবাইল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া যাবে কি না, বিষয়টি স্পষ্ট করা জরুরি। ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে ইভিএম বিষয়ে ভোটারদের স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া অতি জরুরি বলেও আমি মনে করি।’    

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, রিটার্নিং অফিসার মো. বেলায়েত হোসেন চৌধুরী, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা, জেলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারাসহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র পদপ্রার্থী এহতেশামুল আলম বলেন, ‘জনমনে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের এ পদ্ধতির বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। জাতীয় নির্বাচনে যেভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সেই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর সদস্য ৬৯ জন, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সদস্য ১৪৮ জন। এ সময় ইভিএম, অবৈধ অর্থের ব্যবহার, পেশী শক্তির ব্যবহার এবং নির্বাচন আচরণবিধি সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রার্থীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।

প্রার্থীদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কমিশনার বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে কমিশন ইভিএম ব্যবহারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট প্রধান সহজ ও নির্ভরযোগ্য। এ মেশিনের মাধ্যমে জাল ভোট দেওয়া সম্ভব নয় এবং একইসঙ্গে কোনোভাবে একজনের ভোট অন্যজনের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, কারও পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। ইভিএম পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী কারও প্রতি কোনো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ নেই। জনগণ যাকে নির্বাচনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন, তাদেরকেই আমরা নির্বাচিত ঘোষণা করব। এছাড়া নির্বাচন আচরণ বিধি নিয়ে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ময়মনসিংহে কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও যাতে কোনো সহিংসতা ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না হয় এর জন্য নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।’ 

এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইসি কমিশনার মো. আলমগীর। 

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা, জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমএস