২০৩০ সালের দক্ষিণ এশিয়া পুনর্ভাবনা

  • মেহেদী হাসান, নিউজরুম এডিটর | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০১৬, ০৫:৪৪ পিএম

ঢাকা: রাজনৈতিক অবিশ্বাস আর সন্দেহের টানাপোড়েনে থমকে গেছে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) গতি। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আঞ্চলিক এই সরকারি সংস্থাকে নিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনীতিদরা আশাবাদী হলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তা পূরণ হচ্ছে না। এ কারণে রাজনৈতিক অবিশ্বাস দূর করতে নীতি নির্ধারকদের ভূমিকা নিতে হবে।

শনিবার ঢাকায় শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী নবম সাউথ এশিয়া ইকোনোমিক সামিটে (এসএইএস) নীতিনির্ধারকরা এসব বিষয়ে আলোকপাত করবেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশলগুলোও তুলে ধরবেন।

আগামী ২০৩০ সাল অবধি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করে সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন এ অঞ্চলের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা। বিভিন্ন অধিবেশনে দেশি-বিদেশি শতাধিক অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও গবেষক অংশ নেবেন। সম্মেলনের এবারের মূল প্রতিপাদ্য '২০৩০ সালের দক্ষিণ এশিয়া পুনর্ভাবনা'।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সহায়তায় এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৩ অক্টোবর গণমাধ্যমের কাছে সম্মেলনের প্রস্তুতি ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেন সিপিডি নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। 

সিপিডি বলছে, দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সাহায্য করবে। ২০৩০ সালে কোন ধরণের দক্ষিণ এশিয়া দেখতে চাই, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন, নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ কতটুকু? এসব বিষয় নিয়েই শীর্ষ চিন্তাবিদরা তাদের মতামত তুলে ধরবেন।

শতাধিক বক্তা ‘রিমেনিং সাউথ এশিয়া ইন-২০৩০’ লক্ষ্যমাত্রা সংক্রান্ত চারটি প্ল্যানারি ও নয়টি প্যারালাল সেশনে বক্তব্য দেবেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতার কৌশল ও ক্ষেত্র, আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ, সৌহার্দ্য সুদৃঢ করা এবং নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পপরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ও কৌশলগুলো চিহ্নিত করা হবে।

সার্ক গঠনের অনেক পরে ২০০৮ সালে গঠন করা হয় দ্য সাউথ এশিয়া ইকোনোমিক সামিট (এসএইএস)। সিপিডি ছাড়াও এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্রীলংকার ইনস্টিটিউ অব পলিসি স্টাডিজ, ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ, পাকিস্তানের সাসটেইন্যবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনিস্টিটিউ, নেপালের সাউথ এশিয়া ওয়াচ অন ট্রেড ও ইকোনোমিকস অ্যান্ড ইনভারন্টমেন্ট (এসএইএস)।

আঞ্চলিক সহযোগিতায় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী সার্কের আশানুরূপ সাফল্য খুবই কম। তারপরেও বাংলাদেশের উন্নয়নে সার্ক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনে (এসএইএস) অর্থনীতিবিদরা এ ভূমিকাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি এসডিজি অর্জনে এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব কীভাবে আরো বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে প্রস্তাবনা আর সুপারিশ করা হবে। আর এর মধ্য থেকেই বের হয়ে আসবে আগামীর দক্ষিণ এশিয়ার চিত্র। যেখানে থাকবে উন্নয়নশীল ও অর্থনীতিতে দ্রুতগামী বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ারও রূপরেখা।

সোনালীনিউজ/এমএন