জুলাই ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহের তথ্য দিলেন তথ্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট বা এর আগেও জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা হতে পারে। শনিবার (২ আগস্ট) সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত পুনর্জাগরণ র‌্যালির সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে চেয়েছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষার জন্য একটা পেপারওয়ার্ক থাকা প্রয়োজন। একটা দালিলিক প্রমাণ থাকা দরকার। সেই দালিলিক প্রমাণ হলো জুলাই ঘোষণাপত্র। এতে থাকবে আমাদের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প, যেটা বাংলাদেশ পরিবর্তনের লক্ষ্যে তৈরি।”

তিনি আরও জানান, “এই ঘোষণাপত্রে সব দলের স্বাক্ষর লাগবে কিনা এখনো জানা যায়নি। তবে যেসব ব্রড বিষয়ে সব দলের ঐকমত্য রয়েছে, ঐ বিষয়গুলো ইতোমধ্যে সন্নিবেশিত হয়েছে। ৫ আগস্টের মধ্যে এটি প্রকাশিত হবে। হয়তো আজকেই ঘোষণা হতে পারে।”

মাহফুজ আলম বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছেন, তাদের জন্য একটি দালিলিক প্রমাণ থাকবে। এতে থাকবে আমাদের লক্ষ্য, সেই ঐতিহাসিক পরিস্থিতি যার কারণে এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল এবং আমরা কোন পথে এগোতে চেয়েছিলাম।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিটিভি, বেতার, পিআইডি, পিআইবি সহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর এক বছর ধরে গবেষণামূলক কাজ করেছে। শহীদ সাংবাদিকদের সহযোগিতাও পেয়েছে।

মাহফুজ আলম স্মরণ করিয়ে দেন, আমরা শেষবারের মতো ১৬ জুলাই শহীদ মিনারে এসেছিলাম। এরপর গায়েবানা জানাজায় হামলার কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারিনি। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, বিশেষ করে ঢাকার আটটি প্রবেশপথে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। মানুষ দল-মত নির্বিশেষে অংশ নিয়েছিল এবং প্রাণ দিয়েছিল।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শেষ পর্যায়ে পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষক, সমাজকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীরা কারফিউ ভেঙে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়। বিশেষ করে আজকের দিনে একটি প্রোগ্রাম ছিল, যার ফলে আবার শহীদ মিনারে ফিরতে পারি।

“বিজয়ের এক বছর পার হয়েছে। আমরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যার বড় অংশ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো নিয়মিত কাজ করছে।”

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, গত বছর আন্দোলনে প্রায় ২ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছিলেন, হাজার হাজার আহত ও প্রতিবন্ধী হয়েছেন। আমরা তাদের স্মরণ রাখতে চাই। যতদিন তাদের স্মরণ রাখব, নতুন বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার থাকবে।

তিনি আরও যোগ করেন, অনেকে হয়তো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার কারণে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন, এখন তারা অনেকটাই পেয়েছেন। বৈষম্য কমেছে, মানুষের ভাগ্য বদলানোর লড়াই এক বছরে হয়নি, তবে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ওএফ