গণভোট ও জুলাই সনদ নিয়ে যে পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সরকার নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ গণভোট এবং জুলাই সনদ নিয়ে পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে। ক্ষমতাসীন দলের সূত্রে জানা গেছে, সরকারি লক্ষ্য হলো নির্বাচনী পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখা এবং ভোট সংক্রান্ত যে কোনো ঝুঁকি হ্রাস করা।

সরকার গণভোট সংক্রান্ত আইনি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি তদারকি করছে। ভোটার তালিকা যাচাই, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের ত্রুটি এড়াতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি দৃষ্টিকোণ থেকে গণভোট একদিকে জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে, অন্যদিকে ভোটের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে।

জুলাই সনদ বিষয়েও সরকারি তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সনদ সংক্রান্ত আইন ও বিধান যথাযথভাবে প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা দলের বৈধতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সনদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট নিয়ে দ্রুতই সরকারের সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সোমবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট প্রশ্নে মতভিন্নতার কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় এ বিষয়ে সমঝোতার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছিল সরকার। সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসে মতৈক্যে পৌঁছাতে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময় শেষ হচ্ছে সোমবার (১০ নভেম্বর)- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের অবস্থানটা সরকার স্পষ্ট করেছে। অনেকগুলো ক্ষেত্রেই তো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হয়নি সেগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে নিজেরা একসঙ্গে বসে একটা ঐকমত্যে এসে সরকারকে জানায়। আমরা জেনেছি, রাজনৈতিক দলগুলো এখনো সেই প্রক্রিয়া যায়নি। আমরা বলেছিলাম রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারে তবে সরকার অবস্থান নেবে। যেহেতু সাত দিন পার হয়ে গেছে, এখন সরকার বসবে। সরকার অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করে যেটা ভালো মনে হয় সরকার সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের এ পদক্ষেপগুলো মূলত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিটি পর্যায়ে আইনি রীতিনীতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

সরকারের হাই-লেভেল সূত্র আরও জানান, গণভোট ও জুলাই সনদ নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে দেশের নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল রাখা সম্ভব হবে।

এসএইচ