মধ্যরাতে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয় সাংবাদিক ও একটি পিআর প্রতিষ্ঠানের মিডিয়া পরামর্শক মিজানুর রহমান সোহেলকে। রাত ১২টার দিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরনের জুতা-বেল্ট খুলে রাখা হয়, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয় এবং আসামির মতোই গারদে রাখা হয় প্রায় ১০ ঘণ্টা। পরে সকালে আবারও তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, কেন তাকে হেফাজতে নেওয়া হলো সে বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) নামে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের সংগঠনের এক কর্মসূচির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল তার প্রতিষ্ঠানের ওপর। তিনি জানান, ডিবির সদস্যরা এসে শুধু বলেন, ডিবি প্রধান তার সঙ্গে কথা বলতে চান। তবে কারণ জানানো হয়নি।
মিজানুর রহমান সোহেল জানান, তাঁকে ছাড়াও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকেও মিরপুরের বাসা থেকে রাত ১টার দিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি ডিবির হেফাজতেই ছিলেন।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সোহেল অভিযোগ করেন, তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার পেছনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একজন বিশেষ সহকারীর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। অভিযোগটি ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আলোচনাও।
গোয়েন্দা পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তথ্যগত ভুল বোঝাবুঝির কারণেই সোহেলকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার পর সকালেই তাঁকে বাসায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তবু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিবির ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে। অনেকের প্রশ্ন, এমন ঘটনা ‘ভুল’ বলে ব্যাখ্যা করা হলেও এটি কি অতীতের বহুল সমালোচিত পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি নয়?
অভিযোগের তীর গিয়ে ঠেকেছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের দিকে। তবে তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে জড়িয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, অবৈধ মোবাইল আমদানিকারকরা এনইআইআর কার্যক্রম বন্ধের জন্য এ ধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।
এদিকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ।
এসএইচ