যে কারণে নির্বাচনে ৩০০ বিচারক চাইলেন ইসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোটসংশ্লিষ্ট অপরাধ দমন নিশ্চিতে ৩০০ জন বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। 

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ অনুরোধ জানান। প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচনি ট্রেনে উঠে গেছি। এ সপ্তাহের মধ্যেই তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে। তাই নির্বাচনী আইন প্রয়োগে মাঠপর্যায়ে যথেষ্ট সংখ্যক নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন। এজন্যই ৩০০ বিচারক চাওয়া হয়েছে।

রেওয়াজ অনুযায়ী, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এবারও সেই আনুষ্ঠানিকতা বজায় রাখা হয়েছে। তবে সাক্ষাতে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ছিলেন না; সিইসি ইসি সচিবকে নিয়ে একাই যান।

সাক্ষাতে সীমানাসংক্রান্ত মামলা এবং তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য রিট যাতে নির্বাচনি কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি না করে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। নির্বাচনকালীন সময় আদালতের কার্যক্রম ও কমিশনের সিদ্ধান্ত যেন সমন্বিতভাবে চলে-এই লক্ষ্যেই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে জানা গেছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার ভাষণ ইতোমধ্যে চূড়ান্ত। বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা হতে পারে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে ভাষণ সম্প্রচারের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচন আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

সব মিলিয়ে, নির্বাচনকে ঘিরে নির্বিঘ্ন আইন প্রয়োগ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং ভোট-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যই বিচারক চাওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এসএইচ